গর্ভধারণে জটিলতা, ডাক্তারি পরামর্শ

১৬ জুন, ২০২৩

ফাইব্রয়েড বা মায়োমা জরায়ুর একটি অতিপরিচিত টিউমার। ৩৫ বছরের বেশি বয়সী নারীদের প্রতি ১০০ জনে ৩৫ জনেরই এই টিউমার থাকতে পারে। মাসিকের সময় অধিক রক্তপাত ও ব্যথা এই টিউমারের লক্ষণ। যদিও প্রায় ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের লক্ষণ ছাড়াও থাকতে পারে এই টিউমার। অধিকাংশ সময় গর্ভাবস্থায় কিংবা অন্য কোনো কারণে পেটের আলট্রাসাউন্ড করার সময় এটা ধরা পড়ে।

অবস্থানভেদে এই টিউমার তিন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন সাব-সেরাস, ইন্ট্রা-মুরাল এবং সাব-মিউকাস। এর মধ্যে সাধারণত সাব-মিউকাস টিউমারই বেশি জটিলতার কারণ হয়ে থাকে। কারণ, এটি জরায়ুর ভেতরের দিকে অবস্থান করে।

গর্ভধারণের আগেই এই টিউমার ধরা পড়লে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। টিউমারটি যদি আকারে ছোট থাকে এবং সন্তান হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে, তবে গর্ভধারণের চেষ্টা করে যেতে হবে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে টিউমার অপসারণ করার দরকার হবে। যেমন—

জরায়ুতে টিউমার থাকা অবস্থায় গর্ভধারণ হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা কোনো অসুবিধা করে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে টিউমারের কারণে মা ও সন্তানের বিভিন্ন জটিলতা হতে পারে, যেমন—

সিজারের সময় টিউমারটি ফেলা যাবে কি না, এটি নির্ভর করে টিউমারে কোনো জটিলতা আছে কি না, কোথায় অবস্থিত এবং এর সাইজের ওপর। তবে এ সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের আশঙ্কা থাকে। সন্তান প্রসবের পর অনেক টিউমার আকারে ছোট হয়ে যায়।

লেখক: ডা. উম্মুল নুসরাত জাহান, কনসালট্যান্ট (গাইনি), বিআরবি হসপিটালস লি.