কুরবানি ঈদের আগে এক লাখ গরু আমদানির সুপারিশ

২২ জুন, ২০২৩

কুরবানি ঈদের আগে এক লাখ গরু আমদানির সুপারিশ করেছে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। বৃহস্পতিবার ‘ঈদকে সামনে রেখে পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া।

অনলাইনের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনটিতে লিখিত বক্তব্যে ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক জানান, দেশের বাজারে গরুর মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতের কলকাতায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৬০ রুপিতে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৪৫ টাকা। ভারতে চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি হওয়ায় দাম কম।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেশি বলে এখানে গরুর মাংসের দাম বেশি। চড়া দামের কারণে নিম্ন ও নিম্নবিত্তরা এখন গরুর মাংস খাওয়ার সামর্থ্য হারিয়েছেন। মাঝারি আয়ের সংসারগুলোতে মাঝে-মধ্যে গরুর মাংস খাওয়া এখন দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, প্রতি বছর কুরবানির গরুর দাম অত্যধিক থাকে। কারণ হিসেবে খামারিরা বলেন, গরু লালন-পালনে খরচ অনেক বেড়েছে। সরকারি হিসাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে গরুর উৎপাদন ছিল দুই কোটি ৪৭ লাখ। এ ছাড়া কুরবানি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন খামারে ও ব্যক্তিগতভাবে অনেক খামারি গরু উৎপাদন করে থাকেন। আবার দেশীয় গরুর খামার ও চামড়া রক্ষার স্বার্থে সরকার ভারতীয় গরু আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। ফলে দেশীয় বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগানের ঘাটতি থাকায় গরুর মাংসের দাম বেড়েছে— এমন দাবি গরুর ব্যবসায়ীদের।

এ অবস্থায় আসছে কোরবানি ঈদে ভোক্তাদের কম দামে মাংস খাওয়াতে ভারত থেকে অন্তত এক লাখ গরু আমদানির সুপারিশ করছি। তাহলে বাংলাদেশের বাজারে গরুর দাম কমবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি, সভাপতি এবং সংগঠনের সদস্যরা।