০৮ জুলাই, ২০২৩
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-৪ এ বন্দী আমিরুল ইসলাম (৩৪) নামে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি আত্মহত্যা করেছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শনিবার (৮ জুলাই) ভোরে তিনি বিছানার চাদর ছিড়ে টয়লেটের গ্রিলের সাথে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মারা যাওয়া কয়েদি আমিরুল ইসলাম (কয়েদি নং- ২৫৯৭/এ) নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার মধ্য চেঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলাম চৌকিদারের ছেলে।
সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, মারা যাওয়া এই কয়েদি ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট কুমিল্লা কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে আসেন৷ তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে হাতিয়ায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১৪ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
তিনি বলেন, ওই কয়েদি রাত সাড়ে ৩ টার দিকে কারাগারের টয়লেটের মধ্যে বিছানার চাদর ছিঁড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে গুরুতর অবস্থায় আমরা তাকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। ওই কয়েদির রুমে আরও দুইজন বন্দী ছিলেন। তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি জামিনের বিষয়ে পরিবারের লোকজনের সাথে মনমালিন্য হয়েছে। এজন্য হয়তো তিনি আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিয়েছিলেন। আমরা তদন্তের পর বিষয়টি জানতে পারবো৷ মৃত্যুর পর তার স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি শেষে তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোররাতে কারাগার থেকে একজনকে আনা হয়েছিল। তবে তিনি জীবিত ছিলেন না। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তারা বলেছেন ফাঁস নিয়েছে। বিস্তারিত ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।