১৭ জুলাই, ২০২৩
মূল্যস্ফীতি রোধে বেশির ভাগ জাতের চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করছে ভারত। এ খবরের পর দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। ফলে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে টানা ৭ সপ্তাহ দাম বাড়লো। ইতোমধ্যে তা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক ভারত। এরই মধ্যে ভাঙা চালের চালান নিষিদ্ধ করেছে দেশটি। এছাড়া ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অন্যান্য গ্রেডের চাল রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে তারা। দেশে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে উচ্চ মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি এড়াতে সব ধরনের অ-বাসমতি চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে দেশটি। বিষয়টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে প্রভাবশালী বাণিজ্যিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সও। তবে এ নিয়ে সরকারের মুখপাত্র তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। কিন্তু সরকারি দুই সূত্র জানিয়েছে, রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কোনো প্রস্তাব আসেনি।
এক কর্মকর্তা জানান, ২০২৩ সালে ধান উৎপাদনের দৃশ্যপট এবং চালের মূল্যের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে নয়াদিল্লি। আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরে এ নিয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। তখনই নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু নিজের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
এ প্রেক্ষাপটে চলতি সপ্তাহে ভারতের ৫ শতাংশ আধা সেদ্ধ প্রতি টন ভাঙা চালের দাম স্থির হয়েছে ৪২১ থেকে ৪২৮ ডলারে। ২০১৮ সালের এপ্রিলের পর যা সবচেয়ে বেশি। গত সপ্তাহে টনপ্রতি যা ছিল ৪১২ থেকে ৪২০ ডলার।
রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আরইএ) সভাপতি বিভি কৃষ্ণা রাও বলেন, সংগৃহীত ধানের মূল্য বাড়িয়েছে সরকার। ফলে চালের দামও বেড়েছে।
তিনি বলেন, কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চাল মজুত রাখছে সরকার। ফলে রপ্তানি সীমাবদ্ধ করার দরকার নেই।