রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দেখালেন উত্তর কোরিয়ার নেতা

২৭ জুলাই, ২০২৩

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে উত্তর কোরিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দেখিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং–উন। শোইগুর নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়া সফরে রয়েছে রাশিয়ার একটি প্রতিনিধিদল। গতকাল বুধবার সেখানে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দেখানো হয়।

কোরিয়া যুদ্ধের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নানা আয়োজন করেছে পিয়ংইয়ং। সাধারণত প্রতিবছর ব্যাপক সামরিক কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্‌যাপন করে উত্তর কোরিয়া। সেখানে যোগ দিতেই রুশ প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ পেয়েছেন চীনের কর্মকর্তারাও।

শোইগুকে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র দেখানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে হোয়াসং আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম)। ক্ষেপণাস্ত্রটি গত এপ্রিলে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে সফল হয় উত্তর কোরিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, আইসিবিএমটিতে প্রথমবারের মতো কঠিন জ্বালানি (সলিড ফুয়েল) ব্যবহার করেছে দেশটি। এর মাধ্যমে তরল জ্বালানির চেয়ে দ্রুত ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা সম্ভব।  

উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নজর রাখা ওয়েবসাইট এনকে নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শোইগুকে উত্তর কোরিয়ার দুটি ড্রোনের নকশা দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর ব্যবহার করা সামরিক ড্রোনের মতো।

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী এমন সময় উত্তর কোরিয়া সফরে গেলেন, যখন দেশটির বিরুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ওই অস্ত্রগুলো ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করছে মস্কো। তবে এ অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া।

রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের সফর নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ। তাতে বলা হয়েছে, জাতীয় প্রতিরক্ষা ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিবেশ নিয়ে কিম ও শোইগু ‘নিজেদের পারস্পরিক উদ্বেগের’ বিষয়গুলো আলোচনা করেন।

রাশিয়া ও চীন—দুই দেশই উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘদিনের মিত্র। দুই দেশের কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে করোনা মহামারির পর প্রথম বিদেশি অতিথিদের জন্য নিজ দেশের দরজা খুলে দিলেন কিম। এর আগে ২০১৮ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে একটি সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দিতে বিদেশি সরকারি কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পিয়ংইয়ং।