যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত

০৯ আগস্ট, ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান জাতির পিতার বিশ্বস্ত জীবনসঙ্গী হিসেবে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অসামান্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।তিনি বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন-পালন করেছেন এবং সন্তানদেরও একই মূল্যবোধে লালন-পালন করেছেন।রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই শিক্ষা, আদর্শ ও চেতনা অনুসরণ করে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

স্বাধীনতা সংগ্রাম ও দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতার অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করেন।দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বঙ্গমাতার মহান আত্মত্যাগ ও তার পরিবার, সমাজ ও জাতির প্রতি উৎসর্গ স্মরণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

বিকালে জাতির পিতার প্রতিকৃতি ও বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিল্টন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন।পরে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় রাষ্ট্রদূত ইমরান বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতার মহান অবদানের কথা স্মরণ করেন।রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গমাতা যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা চিরকাল বাঙালি নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

মিশনের মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেনও আলোচনায় অংশ নেন এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন।তিনি বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীদের অনুপ্রেরণা ও শক্তি দিয়ে স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে শহিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও তাদের পরিবারের সদস্যদের এবং অন্যান্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আতাউর রহমান।

সূত্র : ইউএনবি