যোগী সরকারের ‘বুলডোজার নীতি’র সমালোচনা ভারতের প্রধান বিচারপতির

১৫ আগস্ট, ২০২৩

সরাসরি নাম উল্লেখ না করে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ‘বুলডোজার নীতি’র সমালোচনা করলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। পাশাপাশি ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে ‘নির্বিচারে ধরপাকড়ের’ ঘটনারও নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।‘সহিংসতা ও নিপীড়নে’ রাশ টানার জন্য সরকারের দায়বদ্ধতার পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দিয়েছেন, দেশের প্রতিটি ব্যক্তিরই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।প্রধান বিচারপতি মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বলেন, ‘নির্বিচারে সম্পত্তি ধ্বংস এবং গ্রেফতারির ঘটনা ন্যায়বিচারের পথে অন্তরায়।’

নয়াদিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালের উপস্থিতিতে চন্দ্রচূড়ের এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। যাতে শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সাংবিধানিক সীমারেখার মধ্যে কাজ করে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিচার বিভাগের।’দেশের সব মানুষের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দেয়ার পথে বাধাগুলো দূর করাই আদালতের সামনে সবচেয়ে বড় ‘চ্যালেঞ্জ’ বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, আদালত ‘অপরাধী’ ঘোষণার আগেই কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ সরকার উত্তরপ্রদেশে গোষ্ঠী সংঘাতে অভিযুক্ত নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিদের সম্পত্তি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং তাদের সাথে আরো একাধিক বিশিষ্ট নাগরিক শীর্ষ আদালতের কাছে এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই পদক্ষেপ নেয়ার আবেদন জানিয়েছেন।আইনজীবীদের একাংশের মতে, সেদিকে ইঙ্গিত করেই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় মঙ্গলবার বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের বার, দেশের শীর্ষস্থানীয় বার হিসেবে আইনের শাসন রক্ষার পক্ষে দাঁড়াবে।’

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা