সাপে কামড়ের ছয় দিন পর গৃহবধূর মৃত্যু

২৫ আগস্ট, ২০২৩

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সাপে কামড়ের ছয় দিন পর বেদানা মণ্ডল (৪৬) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বেদানা মণ্ডল সদর উপজেলার কামারডাঙ্গী গ্রামের অমৃত মণ্ডলের (৫৭) স্ত্রী। চার সন্তানের জননী ছিলেন বেদানা।

অমৃত মণ্ডল বলেন, গত ১৮ আগস্ট (শুক্রবার) তিনি ধান ক্ষেতে কাজ করছিলেন। বিকেল ৪টার দিকে তার স্ত্রী ভাত নিয়ে ক্ষেতের আইল দিয়ে আসার সময় সাপে দংশন করে। পরে তারা স্থানীয় ওঝার দ্বারা বিষ নামিয়ে বাড়ি ফিরে যান। এর এক ঘণ্টা পর বেদানা অসুস্থ হয়ে পড়লে আবারও তারা ওঝার কাছে যান। দ্বিতীয় দফায় বিষ নামানোর পরও বেদানার কোন পরিবর্তন না হলে তারা চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর বেদনা কিছুটা সুস্থ বোধ করেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকেন। পরের দিন সকাল দশটার দিকে তার আবার বিষক্রিয়ার উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকগণ অ্যান্টিভেনাম প্রদান করেন এবং তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ২৩ আগস্ট বুধবার সকাল দশটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একদিন চিকিৎসার পর তার মৃত্যু ঘটে। কিডনি জনিত সমস্যায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে ডাক্তার।

চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা এস এম আরাফাত বলেন, ঐদিন তিনি বেদনার চিকিৎসা করেছিলেন। ওই সময় তার হার্ড এবং কিডনির জটিলতা দেখা দেয় পরে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে পাঠিয়ে দেন।

চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, চরভদ্রাসনকে সাপ উপদ্রুত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের কাছে এর এন্টিভেনামও রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই হাসপাতালে না এসে ওঝার শরণাপন্ন হয়। পরে সে সমস্ত রোগী হাসপাতালে আসলেও সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব হয় না এবং মৃত্যুর মুখে পরে। যে কারণে সাপে কাটলে ওঝার কাছে না গিয়ে সরাসরি হাসপাতালে আসার অনুরোধ জানান তিনি।