কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমলেও কমেনি দুর্ভোগ

২৯ আগস্ট, ২০২৩

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে তিস্তা নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বাড়লেও এখনও তা বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয় পাউবো জানায়, সোমবার বিকেলে তিস্তার পানি কিছুটা কমে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও দুধকুমার নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩২ সে.মি,ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৩ সে.মি ও ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে ৩৯ সে.মি  নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদনদীর পানি বেড়ে বন্যা কবলিতরা পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকের ঘরবাড়িতে পানি উঠায় রান্নাবান্না করতে পারছে না। রাস্তাঘাটে পানি ওঠায় কষ্টে চলাচল করতে হচ্ছে।

এদিকে, তিস্তা নদীর প্রবল স্রোতে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে নদী ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করেছে। তিস্তা নদীর প্রবল ভাঙনে গত কয়েকদিনে রাজারহাটের দুটি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর নদী গর্ভে চলে গেছে।

পাাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নদ-নদীর পানি কমা বাড়ার কারণে শুধুমাত্র তিস্তা নদীর প্রায় ১৫টি পয়েন্টে নদী ভাঙছে। এছাড়াও অন্য সব নদনদী তীরবর্তী প্রায় ২০টি পয়েন্টে এখন নদী ভাঙন চলছে। তবে আমরা গত দুদিনের তিস্তার প্রবল ভাঙনে রাজারহাটের বুড়ির হাটের স্পারের ৩০ মি.বালুর বস্তা ও জিও ব্যাগ ফেলে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছি।