কিয়েভে ব্যাপক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুজন নিহত

৩০ আগস্ট, ২০২৩

কিয়েভে গত বসন্তের পর সবচেয়ে বড় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। গুলি করে ফেলে দেয়া অনেক ক্ষেপণাস্ত্র বিভিন্ন ভবন, পার্ক এবং একটি স্কুলের ওপর গিয়ে পড়ে।গতরাতে ইউক্রেনের রাজধানীতে এই হামলায় আরও তিনজন আহত হয়। রুশ সামরিক ড্রোন ইউক্রেনের ঝিটমির অঞ্চলেও হামলা চালায় যাতে রেলওয়ে লাইন এবং ট্রেনের ক্ষতি হয়।

উত্তর-পশ্চিম কিয়েভের একজন বাসিন্দা লুডমিলা সাভচুক জানান, “বিস্ফোরণের ধাক্কায় আমার ঘরের সব জানালা, দরোজা ভেঙ্গে গেছে। আমরা খুবই ভয়ে আছি।”ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ২৮টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১৫টি ড্রোন গুলি করে ফেলে দিতে পেরেছে বলে দাবি করছে।

ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের ওডেসা অঞ্চলেও রুশ হামলা চালানো হয়, বলছেন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি।গতরাতের এই ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সম্পর্কে রাশিয়া এখনো পর্যন্ত কোন মন্তব্য করেনি।তবে কিয়েভের ওপর এই হামলা শুরু হয়েছিল বিভিন্ন দিক থেকে আসা ড্রোন হামলার মাধ্যমে।এরপর শুরু হয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, যেগুলো ছোঁড়া হচ্ছিল টিউ-৯৫ বোমারু বিমান থেকে।যে ড্রোনটিকে আকাশে ধ্বংস করা যায়নি, সেটি কোথায় গিয়ে আঘাত হেনেছে তা জানা যায়নি।

টেলিগ্রাম মেসেজিং চ্যানেলে এক বার্তায় কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো বলেছেন, “গত বসন্তের পর কিয়েভ এরকম বড় হামলা মুখোমুখি হয়নি। ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে একযোগে হামলা চালানো হয়।”তিনি দাবি করেন যে শত্রুপক্ষের বিশটি টার্গেট তারা ধ্বংস করতে পেরেছেন।কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিশকো জানান, একটি অনাবাসিক ভবনের ভেতর নিহত দুজনের দেহ পাওয়া যায়।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানান, গ্রিনিচ মান সময় সকাল চারটার দিকে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ক্ষেপণাস্ত্রের জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ আকাশ থেকে মাটিতে পড়তে দেখেছেন তিনি।এরকম ধ্বংসাবশেষ পড়ে কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কিয়েভ অঞ্চলের একজন কর্মকর্তা। এর মধ্যে ছয়টি বেসরকারি বাড়িও রয়েছে।ইউক্রেনের রাজধানীতে এই হামলার খবর আসলো এমন এক সময় যখন রাশিয়াও ইউক্রেনের দিক থেকে ব্যাপক ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে।অধিকৃত ক্রাইমিয়া সহ অন্তত ছয়টি পৃথক অঞ্চলে এই ড্রোন হামলা চালানো হয়।

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেসকভে একটি বিমান বন্দরে ড্রোন হামলায় অন্তত দুটি সামরিক কার্গো বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই শহরটি এস্তোনিয়ার সীমান্তের খুব কাছে।এছাড়া মস্কো, ব্রায়ানস্ক, কালুগা, ওরিয়োল এবং রায়াজান অঞ্চলেও হামলা হয়।রুশ কর্তৃপক্ষ দাবি করছে বেশিরভাগ ড্রোন গুলি করে ফেলে দেয়া হয়েছে।রাশিয়া হুমকি দিয়েছে যে তাদের মাটিতে এই হামলার বদলা না নিয়ে তারা ছাড়বে না।

সূত্র : বিবিসি