১৭ মে, ২০২০
দেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন বহন করতে পারে না। তাই করোনা ভাইরাসকে সঙ্গী করেই বাঁচতে শিখার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মন্ত্রীপরিষদের কয়েকজন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খান বলেছেন, তিনি দেশের চিকিৎসক সম্প্রদায়কে বলতে চান- লকডাউন প্রত্যাহার এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। লকডাউনের কারণে দেশে বেকার হয়ে পড়েছেন অনানুষ্ঠানিক আড়াই কোটি শ্রমিক ও কর্মী। তাদের কাজ চালু করার জন্য এই লকডাউন প্রত্যাহার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
ওদিকে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী ডা. জাফর মির্জা দেশের স্থানীয় ওষুধ প্রস্তাতকারকদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদা এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছেন, শিগগিরই করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রে স্বীকৃত রেমডেসিভির ওষুধ উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। এই ওষুধটি যুক্তরাষ্ট্রে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ভাল ফল দিয়েছে।
পাকিস্তানে তৈরি করা এই ওষুধ ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে মার্কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আরো বলেন, রেমডেসিভির রপ্তানি করা হবে ১২৭টি দেশে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, রেমডেসিভির প্রস্তুত করছে যুক্তাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি জিলেড সায়েন্স ইনকরপোরেশন (জিএসআই)। তারা পাকিস্তানের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি বিএফ বায়ো-সায়েন্সেস-এর সঙ্গে দুদিন আগে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
ডা. জাফর মির্জা বলেন, আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত যে, রেমডেসিভির উৎপাদনের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে মাত্র ৬টি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিকে। স্থানীয় তিনটি কোম্পানির মধ্যে একটিকে বিশ্বের ১২৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করতে অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি ঘোষণা দেন, আমরা রেমডেসিভির ওষুধের দাম সবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার নিশ্চিয়তা দিচ্ছি। এসব বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জিএসআইয়ের মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তাদেরকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, পাকিস্তান ওষুধ উৎপাদন করলে এর গুণগত মান বজায় রাখা হবে। এতে বক্তব্য রাখেন বিএফ বায়ো-সায়েন্সেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান খালিদ। তিনি বলেন, আমরা সবার নাগালের মধ্যে দাম রাখার চেষ্টা করবো এই ওষুধের। যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিষ্ঠানন তাদেরকে ওষুধ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।
অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, যদি অনানুষ্ঠানিক কর্মজীবীর একটি পরিবারে গড়ে ৬ জন সদস্য থাকেন। তার অর্থ হলো লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৫ কোটি মানুষ। আমরা লকডাউন আরোপ করে এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কিন্তু আমরা কি একে থামাতে পারবো? বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এ বছরের মধ্যে কোনো টীকা আসছে না। তাই আমাদেরকে এই ভাইরাস সঙ্গে নিয়েই বেঁচে থাকা শিখতে হবে। ডন