০২ অক্টোবর, ২০২৩
প্রথমবারের মতো প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য ইউক্রেনে ব্রিটিশ সেনা মোতায়েন হতে পারে। ব্রিটেনের নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস এ কথা বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে বলে জানান।
গত সপ্তাহে কিয়েভে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন শ্যাপস। তিনি বলেন, যে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা যুক্তরাজ্য ও অপর ন্যাটো দেশের সামরিক ঘাঁটির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনবে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে সমর্থন করছে আরও ১০টি দেশ। এই প্রশিক্ষণে ২৬ হাজার ৫০০ জনের বেশি নতুন সেনাসদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই বছরের শেষ নাগাদ ৩০ হাজারের বেশি সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এই কর্মসূচির লক্ষ্য।
সানডে টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্যাপস বলেছেন, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার আক্রমণ থেকে বাণিজ্যিক নৌযানকে রক্ষায় কীভাবে ব্রিটিশ নৌবাহিনী সহযোগিতা করতে পারে, তা নিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র স্লোভাকিয়ার নির্বাচনে জয় পেয়েছে রাশিয়াপন্থি দল। শনিবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মস্কোপন্থি জনপ্রিয় এই দলটি প্রায় ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, মধ্য ইউরোপের দেশটিতে জনমতের এই প্রতিফলন ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও ইইউর ঐক্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এরই মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর নেতৃত্বাধীন এই দলটি অবিলম্বে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধের ঘোষণাও দিয়েছে।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, জনতুষ্টিবাদী ও মস্কোপন্থি হিসেবে পরিচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী রোবের্ত ফিচো নেতৃত্বাধীন দল এসএসডি ২২ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে প্রগতিশীল দল হিসেবে পরিচিত প্রোগেসিভ স্লোভাকিয়া (পিএস)। ইউক্রেনপন্থি পিএসের নেতৃত্বে আছেন মিশাল সিমেস্কা। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের