এবার ফিলিস্তিনের পক্ষে বেশির ভাগ পরমাণু শক্তিধর দেশ

১৭ অক্টোবর, ২০২৩

সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল বিরোধী জনমত। এই জনমত গঠনে ভূমি রাখছে চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরি, ইরান ও তরুস্কের মত দেশগুলো। এই মিছিলে এবার যোগ দিয়েছে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও কলম্বিয়া। দেশে দেশে গুড়ে উঠছে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে জনমত। তাদের স্বাধীনতার দাবি জোরালো হচ্ছে।

 

জানা যায়, বিশ্বে ৯টি পারমাণবিক অস্ত্রসম্পন্ন দেশের কাছে একত্রে ১৩ হাজার পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এগুলো হিরোসিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে অনেকগুণ ক্ষতিকর।

ইসরাইলে হামাস প্রতিরক্ষামূলক হামলা চালানোর পর থেকে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে দখলদার দেশটি। এরই মধ্যে দুই হাজারের ওপরে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদাররা। হামলা-পাল্টা হামলার এই সমীকরণে বৈশ্বিক সমর্থনে কারা এগিয়ে- এ নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। বিশ্লেষণে দেখা গেছে- বিশ্বের বেশির ভাগ পরমাণু শক্তিধর দেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে।

 

কারণ, বিশ্বে এখন ৯টি দেশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। দেশগুলো হলো- রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান, ভারত, ইসরাইল ও উত্তর কোরিয়া। ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবলিশ নিউক্লিয়ার ওয়েপনসের (আইসিএএনডব্লিউ) তালিকায় দেশগুলোর নাম রয়েছে। 

এর মধ্যে পাঁচটি দেশ ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়েছে। দেশগুলো হলো- রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া।

 

পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে- এমন দেশের তালিকায় থাকা দেশগুলোর ভেতর সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে রাশিয়ার কাছে (৫৯৯৭টি)। এরপরের অবস্থানেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কাছে রয়েছে ৫,৪২৮টি পারমাণবিক অস্ত্র। এই দুই দেশের কাছেই আইসিএএনডব্লিউর তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর ৯০ শতাংশ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।

 

আইসিএএনডব্লিউ জানায়, একটি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড দিয়ে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করা সম্ভব। এর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। যদি নিউইয়র্ক শহরে একটি নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ ঘটে, তাহলে ৫ লাখ ৮৩ হাজার ১৬০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

এ ৯টি পারমাণবিক অস্ত্রসম্পন্ন দেশের কাছে একত্রে ১৩ হাজার পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এগুলো হিরোসিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে অনেকগুণ ক্ষতিকর। সম্প্রতি ফিলিস্তিন-ইসরাইল সঙ্ঘাত যুদ্ধে রূপ নেয়ার পর ৫টি পরমাণু অস্ত্রসম্পন্ন দেশ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর দেশগুলো বিভিন্ন সময় ফিলিস্তিনের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে।