পিরিয়ডের সময় তীব্র যন্ত্রণা লাঘবে করণীয়

০৮ জুলাই, ২০২০

মেয়েদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হয় যা তাদের জীবনযাপনের মানকে অনেক ব্যাহত করে। তেমনই একটি সমস্যার নাম হলো ডিসমেনোরিয়া। মাসিকের সময় প্রায় সকল মহিলাদেরই কম বেশি এই সমস্যাটিতে ভুগতে হয়।

মাসিকের সময় তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা তৈরি হয়, যা কোমর, রান ও পা পর্যন্ত ছড়াতে পারে। একে বলা হয় ডিসমেনোরিয়া। এই ধরনের ব্যথা সাধারণত মৃদু থেকে তীব্র পর্যন্ত হতে পারে এবং মাসিক শুরু হওয়ার ১ দিন আগে থেকে বা মাসিক শুরু হওয়ার দিন থেকে শুরু হয় এবং ১২-৭২ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। সাধারণত মেয়েদের জীবনক্রমের ১ম মাসিক শুরু হওয়ার ৬-২৪ সপ্তাহ পর থেকে প্রতি মাসিকের সময় এই ধরনের কষ্ট তৈরি হয় এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে অর্থাৎ ৩০ বছর বয়সের পর থেকে তা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে স্কুল-কলেজে যাওয়া মেয়েদের এবং কর্মমুখী নারীদের প্রতিষ্ঠানের অনুপস্থিতি একটি বড় কারণ হলো- ডিসমেনোরিয়া।

ডিসমেনোরিয়া ২ ধরনের। যথা- প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া। সেকেন্ডারির ক্ষেত্রে সাধারণত প্রচন্ড পেট ব্যথার সাথে প্রজনন তন্ত্রের কোনো রোগ, ইনফেকশন বা জীবাণু থাকে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। প্রাইমারির ক্ষেত্রে পেট ব্যথা, কোমর ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘুরানো, মন খারাপ হওয়া, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, অবসাদ্গ্রস্থ ইত্যাদি উপসর্গের পাশাপাশি ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে নন স্টেরয়েড (NSAIDs), ব্যথার ঔষধ, পিল, ইত্যাদির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি এসব ঔষধ সেবনের ফলে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়ার কষ্টগুলো অনেকাংশে স্থায়ীভাবে কমানো সম্ভব।

ডিসমেনোরিয়ার কারণঃ
মাসিকের সময় প্রোস্টাগ্লেন্ডিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থের অতিরিক্ত নিঃসরণের ফলে জরায়ুর সংকোচন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে জরায়ুর আশেপাশের রক্তনালীগুলোতে চাপ পড়ে এবং জরায়ুর মাংসপেশিতে অক্সিজেন প্রবাহ বিঘ্নিত হয়। ফলে তৈরি হয় প্রচণ্ড পেটব্যথা।

বাসায় করণীয়ঃ


কিছু স্ট্রেচিং ব্যয়াম

      বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেচিং ও শক্তিশালীকরণ ব্যায়ামের মাধ্যমে মাসিকের কষ্ট অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
      সপ্তাহে ১ঘন্টা করে টানা ৬সপ্তাহ স্ট্রেচিং ও শক্তিশালীকরণ ব্যয়াম অনুশীলনের মাধ্যমে মাসিকের
      কষ্টের স্থায়ী সমাধান অনেকাংশে সম্ভব।

 

কোর শক্তিশালীকরণ ব্যয়ামঃ 


মেহেরুন নেসা
ফিজিওথেরাপি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ