২১ ডিসেম্বর, ২০২৩
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার গোয়াতলা বাজার, সুতারপাড়া বাজার এবং বওলা বাজারে অভিযান চালিয়ে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া প্রায় ছয় লক্ষ শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত অবৈধ কমদামী বিড়ি জব্দ করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ। বুধবার ময়মনসিংহ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের একটি চৌকস টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র ও কিছু ডিলার দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন বাজারে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিভিন্ন ব্যান্ডের বিড়ি বিক্রি করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবুল হাসনাথ শাহাংগী চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ফুলপুর উপজেলার গোয়াতলা বাজার, সুতারপাড়া বাজার এবং বওলা বাজারে অভিযান ও তল্লাশি চালায়।
উক্ত অভিযানে তিনটি ডিলারের গোডাউন এবং বাজারের কয়েকটি দোকানে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় ৭টি বস্তা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত পাখী বিড়ি, ৩টি বস্তা থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত তারা বিড়ি এবং ২টি বস্তা থেকে ৮০ হাজার শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত দয়াল বিড়ি জব্দ করা হয়। অভিযান থেকে প্রায় ছয় লক্ষ শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত অবৈধ কমদামী বিড়ি জব্দ করা হয়েছে।
অভিযান চলাকালে উক্ত বাজারের ব্যাবসায়ীদের মাঝে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এবং ব্যাবসায়ীরা ভবিষ্যতে আর নকল ব্যান্ডরো যুক্ত বিড়ি বিক্রি করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। অভিযানে জব্দকৃত অবৈধ কমদামী বিড়ি ময়মনসিংহ কাস্টমস অফিসে নিয়ে যান কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবুল হাসনাথ শাহাংগী চৌধুরী জানান, অভিযান থেকে বিপুল পরিমান সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া অবৈধ বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। এসব নকল বিড়ি কোম্পানিগুলো দৈনিক বিপুল টাকার রাজস্ব ফাকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে তাদের ব্যাবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। নকল বিড়ি গুলো কাষ্টমস বিধি মোতাবেক জব্দ দেখিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। নকলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।