সন্ধ্যায় প্রতীক পেয়ে ভোরেই মৃত্যু স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুলের

২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

সন্ধ্যায় প্রতীক পেয়ে পরের দিন ভোরেই মারা গেলেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।

আমিনুল হকের ছেলে আছিফুল হক জানান, তার বাবা মামলার শুনানিতে অংশ নিতে সোমবার ঢাকায় যান। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার রাতে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। তিনি ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।

জানা গেছে, আমিনুল হক ২০০৬ সালে পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক। নির্বাচনে নওগাঁ-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে তার মনোনয়নপত্রে বিভিন্ন অসঙ্গগতি তুলে প্রার্থিতা বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশন। আমিনুল হক প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বুধবার আমিনুল হকের প্রার্থিতা বৈধ বলে রায় এবং বৃহস্পতিবার নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

আছিফুল হক আরো জানান, শুক্রবার বিকেলে লাশ গ্রামের বাড়ি নওগাঁর নজিপুরে পৌঁছাতে পারে। জানাজা শেষে সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো: গোলাম মওলা বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। এখন বিধি ও আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং দুপুরের মধ্যেই তা জানানো হবে।’

আমিনুল হক ছাড়াও আরো তিন প্রার্থী আছেন ওই আসনে। তারা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির তোফাজ্জল হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুল ইসলাম।