১৪ জানুয়ারী, ২০২৪
ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় পাবনাসহ উত্তরা লের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।প্রতিকূল আবহাওয়া বিশেষ করে খামার শ্রমিক, দিনমজুর এবং রিকশাচালকদের মতো নিম্ন-আয়ের গোষ্ঠীর লোকদেরকে আঘাত করে, যারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। এটি লোকেদের বাড়ির ভিতরে থাকতে বাধ্য করছে, ব্যবসা এবং অন্যান্য দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপগুলোকে প্রভাবিত করছে।
পাবনা সদর উপজেলার নারানপুর গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম (৫৭) জানান, গত কয়েকদিন ধরে হাড় হিম বাতাস বইতে শুরু করায় ফসলি জমিতে কাজ চালিয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে।অন্যদিকে, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগী বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ ও শিশুরা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালসহ নয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা জানান, হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত প্রায় ২০৮ শিশু ও ১২২ জন প্রাপ্তবয়স্ক রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাগণ জানিয়েছেন।।
এছাড়া গত এক সপ্তাহে ওইসব হাসপাতালের আউটডোরে আরও ৭১৬ জনের বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেযা হয়েছে।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে শিশু এবং বয়স্ক লোকেরা বেশিরভাগই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়, কিছু মৃত্যুর মুখোমুখি হয়।তারা বলেন, মানুষ আগে নিউমোনিয়া, হাঁপানি, ডায়রিয়ার মতো ক্লোডজনিত রোগে ভুগছিল।