গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষায় থাকতে ১০ দফা দাবি জবি শিক্ষক সমিতির

২১ জানুয়ারী, ২০২৪

আসন্ন গুচ্ছভুক্ত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ২৪টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)। 

গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে জবিশিস আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান নেতারা। 

দাবিগুলো হলো: ১. রাষ্ট্রপতির আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আগামী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এনটিএ গঠনের মাধ্যমে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একক ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা। 
২. ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির সকল প্রক্রিয়া শেষ করে সকল পাবলিক বিশ্বদ্যিালয়ের ক্লাস একই দিনে অর্থাৎ ১ জুলাই ২০২৪ এর মধ্যে শুরু করতে হবে। ৩.পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত স্কোর ও মেধাক্রম প্রকাশ করতে হবে। একইসাথে ভর্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা ও মাইগ্রেশন এর জটিলতা নিরসনপূর্বক ছাত্র হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
৪.আর্থিক স্বচ্ছতার জন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষদের সমন্বয়ে শক্তিশালী একটি নিরীক্ষা টিম গঠন করে ২০২০-২১, ২০২১-২২, এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আয় ও ব্যয়ের নিরীক্ষা কার্য সম্পন্ন করে অংশগ্রহণকারী সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট প্রকাশ করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতোপূর্বে পাওনা টাকা বুঝিয়ে দিতে হবে। 
৫. দেশের সকল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আলাদা গুচ্ছ করতে হবে। 
৬.ভর্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শিক্ষার্থীদের আসন সংখ্যা পূর্ণ হচ্ছে না ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীরা সমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের আসন সংখ্যা অনুযায়ী ভর্তি পূর্ণ করতে হবে। 
৭.ভর্তির আবেদন ফি কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করতে হবে। 
৮. ভর্তি আবেদন ফি ব্যাতীত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন, মাইগ্রেশন, ভর্তি বাতিল বা অন্য কোনো কারণে অর্থ প্রদান করবে না তা নিশ্চিত করতে হবে। 
৯.গুচ্ছভুক্ত ২২টির মধ্যে আসন সংখ্যা অনুযায়ী অর্থ বরাদ্ধ না করে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক আবেদনের সংখ্যা অনুযায়ী অর্থ প্রদান করতে হবে। 
১০.পরীক্ষা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য এবং এর স্বচ্ছতার জন্য একটি সুস্পষ্ট আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ণ করতে হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, আমরা গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষায় বিপক্ষে কারণ এখানে দীর্ঘসূত্রিতার সাথে আর্থিক অস্বচ্ছতা রয়েছে। সেই সঙ্গে গুচ্ছ পদ্ধতিতে সমন্বয়হীনতার অভাব ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব না হয়ে বরং অনেক গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে আমরা যেতে চাই না কিন্তু আমাদের চাপে পড়ে যেতে হচ্ছে। 

অধ্যাপক মাশরিক হাসান বলেন, আমরা অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছি যে, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বৃদ্ধির কারণগুলো কার্যকর নিরসনের পদক্ষেপ নেয়া এবং গুচ্ছ পরিচালনাকারীদের অদক্ষতার সীমাবদ্ধতাগুলো সমাধান করা হয়নি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, যারা গুচ্ছ প্রক্রিয়ার মতো সরকারের এত সুন্দর একটি উদ্যোগকে ব্যর্থ করলেন তাদের হাতেই বারবার গুচ্ছা ভর্তির দায়িত্ব বর্তিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। আমরা অতীতের কার্য বিবেচনায় এবারের গুচ্ছ ভর্তির সাফল্য নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছি।