মালদ্বীপের পথে চীনের জাহাজ, সর্তক ভারত

২৪ জানুয়ারী, ২০২৪

চীনের রাজধানী মালের নামের একটি গবেষণা জাহাজ মালদ্বীপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। সিয়াং ইয়াং হং-০৩ নামের জাহাজটি ভারত মহাসাগর অঞ্চলে জরিপ অভিযান চালাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ গবেষণা পরবর্তীতে চীন সামরিক কাজে ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ভারত। তাই এ জাহাজের কার্যক্রম নিয়ে খুবই সর্তক অবস্থানে রয়েছে দেশটি। খবর রয়টার্স।

রয়টার্স জানায়, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফর ঘিরে মালদ্বীপের মন্ত্রীদের অপমানজনক মন্তব্য এবং ভারতীয় সেনাদেরকে মালদ্বীপ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য আলটিমেটাম নিয়ে দুদেশের সম্পর্কে কিছুটা ফাটল ধরেছে। ভারতজুড়ে চলছে মালদ্বীপে ভ্রমণ বয়কটের ডাক। এমন প্রেক্ষাপটে এ ভারতের মাথা ব্যাথা বাড়িয়েছে চীনের সিয়াং ইয়াং হং-০৩ গবেষণা জাহাজটি। ভারতের এক সামরিক কর্মকর্তা এই বক্তব্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন এবং বলেছেন, তারা জাহাজটির গতিবিধি নজরে রাখছেন।

এদিকে ভারত বলছে, এ জাহাজগুলো সামরিক জাহাজ নয়। তবে এসব জাহাজের গবেষণা সামরিক কাজে ব্যবহার হতে পারে বলে ভারত ও অন্যান্য দেশগুলো উদ্বিগ্ন।

ভারতের এক ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, চীনের গবেষণা জাহাজগুলো দ্বৈত ভূমিকা পালন করে। এসব জাহাজ বিস্তৃত গবেষণা করে যেসব তথ্য আহরণ করে, সেগুলো সামরিক-বেসামরিক উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। ভারত মহাসাগরে সাবমেরিন মোতায়েনেও এসব জাহাজ ভূমিকা পালন করতে পারে।

তবে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে বলেছে, জাহাজটি কোনো গবেষণা করবে না বলে জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনা সরকারের ‘জিয়ান ইয়াং হং ০৩’ জাহাজটি ‘কর্মী ও রসদের পালাবদলের জন্য’ মালদ্বীপ যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ভারত মহাসাগরের ক্ষুদ্র দ্বীপদেশ মালদ্বীপের ওপর প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ভারত এবং চীন। এমন প্রেক্ষিতে ‘ভারত খেদাও’ প্রচার চালিয়ে নভেম্বরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদে চীনপন্থি মোহাম্মদ মুইজ্জু আসীন হওয়ার পর থেকেই দেশটির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। এরই মধ্যে ভারতকে মালদ্বীপে অবস্থানরত তাদের প্রায় ৮০ সেনাকে প্রত্যাহার করে নিতে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে মালে।