ইবিতে অনুমোদনহীন রড ব্যবহারের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের ভর্ৎসনা, কারণ দর্শানোর নির্দেশ

০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেগাপ্রকল্পের অধীন ১০তলা বিশিষ্ট তিনটি ভবনের নির্মাণে অনুমোদনহীন রড ব্যবহারের ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নির্মাণকাজ তত্ত্বাবাধান সংশ্লিষ্টদের দ্রুত সময়ের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। গতকাল সোমবার প্রকৌশল দপ্তর, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগ, ভিজিলেন্স টিম এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এসব রড দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দিন ও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ঘটেছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় প্রশাসন ভবনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জরুরি বৈঠকে উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ও প্রকল্পের ভিজিলেন্স টিমের আহ্বায়ক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দিন, প্রকল্প পরিচলাক নওয়াব আলীসহ ভিজিল্যান্স টিমের অন্যান্য সদস্য ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পের অগ্রগতি ও সার্বিক বিষয় নিয়ে এ সভা হয় বলে জানা গেছে। সভায় অনুমোদনহীন রডের ব্যবহার নিয়ে নির্মাণকাজ দেখভালের দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের উপাচার্য ভর্ৎসনা করেন বলে জানা গেছে।

সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, অনুমোদনহীন রডগুলো আলাদা করে বেঁধে রাখা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব রড সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, অনুমোদনহীন রড ব্যবহারের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অনেকে ভবনগুলোর মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে এর ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন।

পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক নওয়াব আলী বলেন, ‘পরিদর্শনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। প্রকৌশল দপ্তর প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকায় তাদের থেকে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করবো।’

প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তত্ত্বাবধানে থাকা প্রকৌশলীদের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত সমেয়র মধ্যে এসব রড সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।’উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘সংশ্লিষ্টদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। জবাব দেওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ৫৩৭ কোটি টাকার মেগাপ্রকল্পের কাজে সাতটি কম্পানির রড ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মাইশা কন্সট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তালিকার বাইরের অনুমোদনহীন রড ব্যবহার করছিল। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দশ তলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন ও দুটি ছাত্র হলের নির্মাণ কাচ করছে।