বাগেরহাটে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বাগেরহাটের কচুয়ায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামী বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকারকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার বিকেলে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক এস এম সাইফুল ইসলাম আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন। 

একই সাথে আসামীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় অন্য ৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকার বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের বাবুল কর্মকারের ছেলে।

সরকারি কৌশলী সিদ্দিকুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার চরকাছারিয়া গ্রামের সুবোধ কুমারের মেয়ে সেতু রানিকে আসামি বাপ্পি অপহরণ করে বিবাহ করেন। পরবর্তীতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে বাপ্পি ও সেতু। পরে এলাকায় এসে বাপ্পি তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। ২০১৯ সালের গত ৬ আগষ্ট ৮ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রী সেতুকে নির্যাতন করে গুরুতর আহত করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একই বছর ২ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট আদালতে ৬ জনকে আসামি করে মামলা করে। মামলাটি পিবিআই তদন্ত শেষে ২০২০ সালে ৪ এপ্রিল স্বামী বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্চশিট দাখিল করে। আদালত আসামি বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকারকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। অন্য ৩ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।