পাবনা জেলা বিএনপি কারামুক্ত ৬ শতাধিক নেতাকর্মীদের বরণ করল

০৩ মার্চ, ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান আন্দোলনের সময় কারাবরণকারীদের সংবর্ধনা দিয়েছে পাবনা  জেলা বিএনপি। বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে ফুলের মালা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করেন কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা।

রোববার (৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পাবনা শহরের লাহেড়ীপাড়াস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেন, দেশি-বিদেশি সড়যন্ত্রেও আমাদেও নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল, যারা কারণে হাজার চেষ্টা করেও দলকে ভাঙতে পারেনি।  যেকারণে আমরা স্বাধিনতা যুদ্ধ করেছিলাম; সেই উদ্দেশ্যে আজ ধূলিসাৎ হতে চলেছে। মানুষের অধিকার আজ লুন্ঠিত। সেই অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সংগ্রাম চলবেই। বিএনপির সংগ্রাম না করলে কেউ সংগ্রাম করবে না। কারণ বিএনপিই দেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় দল। এজন্যই চলমান আন্দোলনে বিএনপি  নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

 নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধান বক্তা বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও পাবনা জেলা বিএনপির সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের ডাকে যে ভোট বর্জনের দেয়া হয়েছিল জনগণ সেই ডাকে সাঁড়া দিয়ে ভোট বর্জনের মাধ্যমে তারেক রহমানকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে। আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আন্দোলন সফল ঘরে তোলার আগে আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। এজন্য সবার আগে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে যেতে হবে। প্রত্যেকে হাতে হাত মিলিয়ে দেশনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। যে লড়াই তারেক রহমান শুরু করেছেন সেই লড়াইয়ে বিজয়ী না হয়ে শান্ত হবো না। শেখ হাসিনার পতন এই বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ। ইতিহাসের করুণ পরিণতি  ভোগ করতে হবে হাসিনাকে।

পাবনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকারের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন ও কৃষক দলের আহ্বায়ক কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন।

এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য কে এম আনোয়ারুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য জহুরুল ইসলাম বাবু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।