০৮ মার্চ, ২০২৪
চট্টগ্রামে অস্ত্র দিয়ে তানভীর হোসেন নামের এক যুবককে ফাঁসানোর চেষ্টায় আবারও পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারদিন মোস্তাকিম তাসিন এর আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী যুবকের বড় ভাই রাহাত হোসেন। বাদীর আইনজীবী জোবায়েরুল ইসলাম বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে সাতকানিয়া সার্কেলে সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউল হক চৌধুরী, এসআই আবদুর রহিম, মোস্তাক আহমেদ, এএসআই রেজাউল করিম, ইকবাল হোসেন, জহিরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন অনিক ও কনস্টেবল কবির হোসাইন।
এর আগে গত বুধবার আইমান রশিদ নামের এক কলেজছাত্রকে অপহরণের পর পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে চট্টগ্রাম রেঞ্জ রিজার্ভ পুলিশের পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয় আদালতে। এ ছাড়া নগরে এক ফ্রিল্যান্সারের কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এক পরিদর্শক, ছয় পুলিশ সদস্যসহ আটজনের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার আরেকটি মামলা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাদীর ভাই তানভীর হোসেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছিলেন। ওই দিন বিকেলে সাদাপোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা তাকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। পরে খবর নিতে তাদের আরেক ভাই হিরু হোসেন থানায় যান। সেখানে দেখতে পান তার ভাই তানভীরকে থানায় বেধড়ক পেটানো হচ্ছে। কেন পেটানো হচ্ছে, জানতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা হিরুকেও থানায় আটকে রাখেন। পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ একটি দেশীয় অস্ত্র ও চার রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করার কথা জানায় তানভীরের কাছ থেকে। কিন্তু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাকে যখন পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, তখন কোনো অস্ত্র পায়নি।
জানতে চাইলে সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউল হক চৌধুরী বলেন, মাইজপাড়া বিল থেকে একটি অস্ত্র ও চার রাউন্ড কার্তুজসহ তানভীরকে আটক করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিতরা সাক্ষী দিয়েছেন। তানভীরের বিরুদ্ধে থানায় আগেও সাতটি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, আটকের সময় ধস্তাধস্তিতে সামান্য আঘাত পেয়েছেন আসামি। তাকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।