বাংলাদেশের মানুষ উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে না: মনিরুল ইসলাম

২২ আগস্ট, ২০২০

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ গবেষণা গ্রুপের  আয়োজনের এ ওয়েবনার (ওয়েব সেমিনার)  অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (২১ আগস্ট)  রাত নয়টায় ওয়েবনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়েব সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এবং ‘কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম’-এর প্রধান মো: মনিরুল ইসলাম। 

ওয়েবনারে অংশ নিয়ে মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদে লিপ্ত হচ্ছে কম বয়সের ছেলে মেয়েরা। এবং যারা তাদেরকে এই পথে নিয়ে আসছে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করে তাদেরকে এই পথে প্রলুব্ধ করছে। এক্ষেত্রে সন্তানদের পিতা-মাতা এবং শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে যে, তাদের সন্তানদের এবং শিক্ষার্থীদের আচরণগত কোন পরিবর্তন হচ্ছে কি না। যদি কোন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় সেক্ষেত্রে তাদের সাথে এসকল বিষয়ে খোলা-মেলা কথা বলতে হবে। এছাড়াও সরকার সন্ত্রাসবাদের মূল উৎপাটনের জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছেন। সরকারের 'জিরো টলারেন্স' বা 'শূন্য সহনশীলতার' নীতি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি বেশ ভাল কাজে দিয়েছে। বিশেষ করে হোলি আর্টিজান ঘটনার পর বিশ্বের সকল দেশ ভেবেছিল বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল কিন্তু তা হয়নি একমাত্র সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের জন্যই। তিনি আরও বলেন সস্ত্রাসবাদ বা জঙ্গিবাদ সাধারন অপরাধ থেকে আলাদা এবং এ জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ পুলিশ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে এই ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলার জন্য।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কৃষ্ণ কুমার সাহার পরিচালনায় ওয়েবনারটিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাংবাদিক, গবেষক, এনজিও কর্মী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

উল্লেখ্য, মহামারি করোনা ভাইরাসের সংকটকালে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা চলমান রাখার লক্ষ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ গবেষণা গ্রুপ (Social Research Group) নিয়মিত ভাবে ওয়েবনারের (ওয়েব সেমিনার) আয়োজন করে আসছে। এখানে উল্লেখ্য যে, বর্তমান সময়ে এধরনের অনেক ওয়েবনার দেখাগেলেও সেগুলো ঢাকা কেন্দ্রিক হওয়ায় মফশ্বল শহরগুলোর তেমন প্রতিনিধিত্ব থাকে না বিধায় আয়োজকরা এই ধরনের আয়োজন করছেন।