খেলতে ও পড়তে এসে প্রতারণা, ৪ বিদেশি নাগরিক গ্রেফতার

২৬ আগস্ট, ২০২০

প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার কাউলা ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলো, সিসম, মরো মহাম্মদ, মরিসন ও অ্যান্থনি। তারা নাইজেরিয়া ও ঘানার নাগরিক।

জানা যায়, খেলোয়াড় ও স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আট বছর আগে তারা বাংলাদেশে এসেছিল। এরপর থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করে ফেসবুকে প্রতারণা করে আসছিল।

আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের সিরিয়াস ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা।

সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, প্রতারণার শিকার একজন ভিকটিমের অভিযোগের সূত্র ধরে সিআইডি এই চার বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। তারা এক বছরের স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দেশে আসেন। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও তারা কেউ ভিসার মেয়াদ বাড়াননি।

তিনি বলেন, আসামিরা অভিনব কায়দায় নারীদের সঙ্গে প্রথমে ফেসবুকে বন্ধুত্ব তৈরি করে। বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসহ পার্সেল উপহার পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। এমনকি এসব মূল্যবান সামগ্রী এয়ারলাইন বুকিং দেওয়ার একটি ভুয়া ডকুমেন্টও পাঠায়। মিলিয়ন ডলারের মূল্যবান সামগ্রীর প্রলোভন দেখিয়ে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে তা কাস্টমস থেকে গ্রহণ করতে বলে। এসময় তাদের অন্য সহযোগীরা নিজেদের কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভিকটিমকে উপহার সামগ্রী নেওয়ার জন্য শুল্ক পরিশোধের জন্য মোটা অংকের অর্থ দাবি করে। ভিকটিম উপহার গ্রহণ করতে না চাইলে আইনি জটিলতার ভয় দেখায়।

সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, তাদের কাছে যে ভিকটিম অভিযোগ করেছেন, তিনি বাধ্য হয়ে ৫৫ হাজার টাকা দিয়েছিল। টাকা নেওয়ার পরপরই আসামিরা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ওই ভিকটিম বিষয়টি সিআইডিকে জানালে প্রযুক্তির সহায়তায় এই প্রতারক চক্রটিকে শনাক্তের পর গ্রেফতার করে।

এই চক্রটি সারাদেশে অসংখ্য ভিকটিমের কাছ থেকে গত কয়েক বছরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই চক্রে বাংলাদেশি লোকজনও রয়েছে। তাদেরও শনাক্তের পর গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।