ফোন রিস্টার্ট করা ভালো না কি পাওয়ার অফ করা?

২৭ এপ্রিল, ২০২৪

স্মার্টফোন এখন প্রায় সবার হাতেই শোভা পায়। এই টেলিকম ডিভাইস এখন আর শৌখিনতার প্রতীক নয়, দরকারিও বটে। একটি ফোনে আমাদের পাওয়ার অফ এবং রিস্টার্ট উভয় অপশন দেওয়া হয়। অনেকেই হয়তো ভেবে দেখেননি যে, দুইটি অপশনের একই কাজ, তা সত্ত্বেও ফোনে এই দুটি অপশন দেওয়ার প্রয়োজন কী।

অনেক সময় ফোনে এমন কিছু সমস্যা আসতে শুরু করে যার কারণে ফোন হ্যাং হয়ে যায়। এর সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা সঙ্গে সঙ্গে ডিভাইসটি বন্ধ করে দিই এবং আবার চালু করি, যাতে ফোনটি সঠিক ভাবে কাজ করা শুরু করে।

ফোনে আমাদের পাওয়ার অফ এবং রিস্টার্ট উভয় অপশন দেওয়া হয়। পাওয়ার বন্ধ করলে ফোনটি বন্ধ হয়ে যায় এবং এটি ফের অন করতে হয়। রিস্টার্ট করা হলে, ফোন স্বয়ংক্রিয় ভাবে বন্ধ এবং চালু হয়।

কিন্তু অনেকেই হয়তো ভেবে দেখেননি যে, দুটি অপশনের একই কাজ, তা সত্ত্বেও ফোনে এই দুটি অপশন দেওয়ার প্রয়োজন কী। প্রতি সপ্তাহে ফোন রিস্টার্ট করলে তা মেমোরি লিক প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

ব্যাটারি প্লাস দ্বারা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, যখন একটি অ্যাপের কাজ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে মেমোরির প্রয়োজন হয় তখন মেমোরি লিক হয়, কিন্তু অ্যাপ ব্যবহার না হলে মেমোরি লিক হয় না।

এক্ষেত্রে ফোন রিস্টার্ট করা কানেক্টিভিটি সমস্যায় সাহায্য করতে পারে। পুরনো স্মার্টফোনগুলো কখনও কখনও ডেটা এবং ওয়াইফাই-এর সঙ্গে সংযোগ করতে অক্ষম হলে ফোন পুনরায় চালু করা যেতে পারে।

ফোনকে পাওয়ার অফ করলে এটি ক্যাশে ডেটা সাফ করতে সাহায্য করবে, যাতে আমাদের ফোন আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে।

ফোন বন্ধ এবং রিস্টার্ট করা ছাড়াও, আমাদের ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান অ্যাপসগুলো পরিষ্কার করা উচিত। এটি ফোন চলাকালীন ব্যাটারির স্বাস্থ্যের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

ফোন সাধারণত তখনই রিস্টার্ট করা যখন ফোন হ্যাং হয়ে যায় বা অ্যাপসগুলো সঠিক ভাবে চলে না বা সফটওয়্যারের সমস্যা দেখা দেয়। তবে এটিও একটি ভালো অভ্যাস, এর কারণে ফোনটি মসৃণভাবে চলতে থাকে।