২৯ এপ্রিল, ২০২৪
গান গেয়ে প্রতিবাদ জানানোই নেশা। সেটাকেই পেশা বানিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললেই মুশকিল। শাস্তি হিসেবে বন্ধ করা হবে প্রতিবাদীর মুখ। ইরানের সরকারের সমালোচনা করে গান করায় জনপ্রিয় র্যাপার তোমাজ সালেহির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরানের আদালত।
ইতিমধ্যে তোমাজ সালেহির ফাঁসির আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাপারের তোমাজ সালেহির আইনজীবী আমির রেসিয়ান।
দুই বছর আগে ২২ বছর বয়সী ইরানি কুর্দি তরুণী মাসা আমিনিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তিনি পুলিশের হেফাজতে মারা যান। কিন্তু এ ঘটনায় কেন পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হবে, সেটা নিয়ে সোচ্চার হয় দেশটির অনেক মানুষ। দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নামেন।
ইরানজুড়ে যখন আন্দোলন হচ্ছিল, তখন ৩৩ বছর বয়সী তোমাজ সালেহি দেশের দুর্নীতি, শাসনব্যবস্থা, সরকারের নানা রকম সমালোচনা করে গান করেন। এমন ঘটনায় তিনি একাধিকবার গ্রেফতারও হন। বিভিন্ন সময় তাকে হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু গান দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া থেকে থামেননি তিনি। তার গান ছিল ইরানে পরিবর্তন চাওয়া মানুষের মুখে।
সালেহিকে গ্রেফতার করা ও তার শাস্তির ঘটনায় সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের র্যাপার মিক মিলার। এক্স-এ তিনি লিখেছেন, ‘আমরা সালেহি মুক্তি চাই। কুর্দি ও ইরানিয়ান র্যাপার সামন ইয়াসিনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বাতিল চাই। তাদের দ্রুত মুক্তি চাই।’
২০২২ সালে সালেহিকে গ্রেফতার করে ইরানের পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তাকে ছয় বছর তিন মাসের জেল দেওয়া হয়। পরে ইরানের সুপ্রিম কোর্ট থেকে তিনি জামিনে বের হন। পরবর্তী সময়ে কিছুদিন পরেই তিনি আবার গ্রেফতার হন। এই র্যাপারের মুক্তির জন্য নাজানীন বনিয়াদি, আরিয়ান মোয়েদ, মাজ জোবরানিসহ বেশ কিছু অভিনয়শিল্পী মতামত প্রকাশ করেছেন।