বিএনপির ঘরের রাজনীতিও ঝিমিয়ে পড়েছে: কাদের

০৩ মে, ২০২৪

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বিধা-বিভক্ত বিএনপির ঘরের রাজনীতিও ঝিমিয়ে পড়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে বিরোধীদল কথা ও বিবৃতিসর্বস্ব রাজনীতি করছে। মাঠে তাদের কোনো কর্মসূচি নেই। দ্বিধা-বিভক্ত বিএনপির ঘরের রাজনীতিও ঝিমিয়ে পড়েছে। নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে এবং আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করতে গিয়ে সারা দেশে যে অবস্থার সৃষ্টি করেছে, যে নেতিবাচক রাজনীতি করেছে- তাতে দলটির প্রতি জনগণের অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। আবার দল ক্ষমতায় আসবে, নেতারা এ কথা বললেও কর্মীরা তা বিশ্বাস করে না।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আটকে আছেন আইনের ফাঁদে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় তিনি বন্দি। বিএনপি নেতাদের উপেক্ষা এবং অবহেলার জন্য, হাজিরা বিলম্বিত করা; এক বছরে যেটা শেষ হতো সেটার বিচার ১০ বছরেও শেষ হয়নি। লিগাল ব্যাটেল (আইনি লড়াই) করেও তারা পারেনি। রাজপথেও তারা দেখার মতো কোনো মিছিল করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার উদারতায় খালেদা জিয়ার শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। বাড়িতে বসেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিদেশ থেকেও চিকিৎসক এসে চিকিৎসা করাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারকে যারা চাপে রাখতে চেয়েছিল নিজেরাই যথেষ্ট চাপে আছে। কারণ আরব বসন্তের স্পর্শ আটলান্টিকের ওপারেও (যুক্তরাষ্ট্রে) লেগেছে। নির্বাচনের আগেও তো চাপ, হুমকি-ধমকি ছিল। নিষেধাজ্ঞা দেবে, এগুলো তো তারা প্রকাশ্যে বলেছে। এখন স্বাভাবিক কারণে যারা চাপ দেবেন, তারা নিজেরাই যথেষ্ট চাপে আছে। আরব বসন্তের স্পর্শ আটলান্টিকের ওপারেও লেগেছে। আমরা দূর থেকেই সেটা দেখতে পাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের নিকটাত্মীয় বলতে দলীয় সভাপতি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সুনির্দিষ্টভাবে স্ত্রী ও সন্তানদেরই বুঝিয়েছেন। তিনি গতকাল সকালে এবং বিকেলে দলীয় সভায় সেটা খোলাসা করেছেন। নির্দেশ দিয়েছেন, নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রভাব বিস্তার, হস্তক্ষেপ না করতে। প্রশাসনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করা যাবে না। পরিষ্কার করে তিনি সে কথা বলেছেন। নেত্রীর গাইডলাইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করব।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের অনেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে অনেকেই করেছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ইতিবাচক রাজনীতি করি। বিশ্বে সংকটের যে প্রভাব-প্রতিক্রিয়া, বাংলাদেশেও সে প্রতিক্রিয়া থেকে জনগণকে পরিত্রাণ দিতে এবং এ সংকট সাময়িক হলেও তা দূর করতে কিছু বাস্তবমুখী কর্মসূচি নিতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে, বেকার সমস্যা দূরীকরণ এবং নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দলকে সুসংগঠিত করতে নেত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন এবং সেভাবে দলকে আমরা সাজিয়ে নিচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।