রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত ১৬ জন শ্রীলঙ্কান

১৬ মে, ২০২৪

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভাড়াটে সেনা হিসেবে অংশ নিয়ে এ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ১৬ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। বুধবার শ্রীলঙ্কার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রমিথা তেনাকুন বুধবার রাজধানী কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা বলেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী গত বছর থেকে শ্রীলঙ্কার অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া শুরু করেন এবং এ পর্যন্ত দেশটির সেনাবাহিনীর মোট ২৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে শ্রীলঙ্কা ত্যাগ করেছেন। নিহত ১৬ জন এই ২৮৮ জনের মধ্যেই পড়েন।

অবসরপ্রাপ্ত এই সেনারা কোন পক্ষে যোগ দিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে তা স্পষ্ট করেননি প্রামিথা, তবে শ্রীলঙ্কায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা গামিনি ওয়ালেবোদা জানিয়েছেন, সাবেক এই সেনা সদস্যদের অধিকাংশই রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা পেনাকুন বলেন, যুদ্ধে সেনা পাঠানোর জন্য রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনের সরকারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সরকারের কোনো চুক্তি হয়নি। তাই যে চক্রটি সেনাদের রিক্রুট করছে, তারা মানবপাচারকারী। শ্রীলঙ্কার সরকার এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সেই সঙ্গে সাবেক সেনা সদস্যদেরও মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

‘এটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েই আমাদের বন্ধু। যেসব নাগরিক সেখানে রয়েছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছি।’

সেই সঙ্গে নাগরিকদের রাশিয়া ও ইউক্রেন ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বনেরও আহ্বান জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার উপ প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কার দুই জন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীলঙ্কার পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন সাবেক মেজর জেনারেল। এই দু’জনের বিরুদ্ধেই রাশিয়ায় ভাড়াটে সেনা পাঠানো চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর একই অভিযোগ করেছিল দক্ষিণ এশিয়ার হিমালয় রাষ্ট্র নেপাল। দেশটির সরকার জানিয়েছিল, মানবপাচারকারীরা নেপালের তরুণদের ‘টার্গেট’ করছে এবং তাদের রাশিয়া নিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধে ১৯ জন নেপালি নাগরিক নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছিল কাটমান্ডু।
সূত্র : সিএনএ