যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় অনিশ্চিত লামিচানের টি-২০ বিশ্বকাপ

২২ মে, ২০২৪

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের ঠিক আগে ধর্ষণের মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন নেপালের তারকা অলরাউন্ডার সন্দ্বীপ লামিচানে। ধারণা করা হচ্ছিল, বিশ্বকাপ সামনে রেখে এই তারকা অলরাউন্ডারকে তাড়াহুড়ো করে খালাস দেওয়া হয়েছে। তবে এবার ভিসা জটিলতায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার বিশ্বকাপ যাত্রা।

এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে আয়োজন করছে। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার আবেদন করেছিলেন ধর্ষণ মামলা থেকে সদ্যই মুক্তি পাওয়া লামিচানে। তবে তার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।

নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুধবার (২২ মে) ২০১৯ সালের একটি পোস্ট শেয়ার করে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন লামিচানে। তিনি লিখেছেন, নেপালে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস আবার সেটি করল, যেটি ২০১৯ সালে করেছিল।

তিনি আরো লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া টি-২০ বিশ্বকাপে আমার ভিসা নাকচ করেছে। দুর্ভাগ্যজনক। নেপাল ক্রিকেটের শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে আমি দুঃখিত।

২০১৯ সালে একবার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার আবেদন করেও পাননি লামিচানে। সেবার অবশ্য তার বিরুদ্ধে কোনো গুরুতর অভিযোগও ছিল না। তবুও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে ভিসা পাননি এই ক্রিকেটার। এবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল বিশ্বকাপে।  

২০২২ সালের ২১ আগস্ট কাঠমান্ডুর একটি হোটেল রুমে এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে লামিচানের বিরুদ্ধে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৪ ডিসেম্বর মামলার চূড়ান্ত শুনানিতে জেলা আদালত লামিচানেকে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর তাকে সাজাও শোনানো হয়েছিল।

ওই রায়ের প্রেক্ষিতে আবার উচ্চ আদালতে আপিল করেন লামিচানে। গত ১৫ মে তাকে খালাস দেয় আদালত। বিশ্বকাপের জন্য এরই মধ্যে দল ঘোষণা করেছে নেপাল। স্বাভাবিকভাবেই ওই দলের ছিলেন না লামিচানে।

তবে ২৫ মের মধ্যে প্রাথমিক দলে আইসিসির অনুমোদন ছাড়াই পরিবর্তন আনা যাবে। তাই দ্রুত সময়ের জন্য ভিসার আবেদন করেছিলেন লামিচানে। কিন্তু এবার সেই ভিসা বাতিল হওয়ায় তার বিশ্বকাপে খেলা অনিশ্চিত হয়ে গেল।

বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অবস্থান করছে নেপাল দল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের। আগামী ৪ জুন ডালাসে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ নেপালের। একই গ্রুপে তাদের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও দক্ষিণ আফ্রিকা।