ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে ঘিরে নানা কর্মসূচি

২৪ মে, ২০২৪

আগামী ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এবার বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষা’।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত এক সভায় দিবসটি উদযাপনের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ শোভাযাত্রা সহকারে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে সমবেত হবেন। স্মৃতি চিরন্তন চত্বর থেকে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মুখস্থ পায়রা চত্বরে যাবেন।

এরপর সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সম্মুখস্থ পায়রা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

এছাড়াও এদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নীলক্ষেত ও ফুলার রোড থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে।

প্রসঙ্গত, ১৯২১ সালের ১ জুলাই ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। তার মধ্যে নারী ছিলেন মাত্র একজন। প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর পূর্ববঙ্গ এবং আসাম প্রদেশের পরিত্যক্ত ভবনাদি এবং ঢাকা কলেজের (বর্তমান কার্জন হল) ভবনসমূহের সমন্বয়ে মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার এই দিনটি প্রতিবছর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

তিনটি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। ঢাকা কলেজ ও জগন্নাথ কলেজের (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ডিগ্রি ক্লাসে অধ্যয়নরত ছাত্রদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। শুধু ছাত্র নয়, শিক্ষক এবং লাইব্রেরির বই ও অন্যান্য উপকরণ দিয়েও এই দুটি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করে।