২৭ মে, ২০২৪
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ বিরতির পর আবারও মঞ্চায়িত হয়েছে প্রয়াত নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন রচিত নাটক ‘নিমজ্জন’।
রোববার (২৬ মে) বিকেল ৫টায় নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের জিয়া হায়দার থিয়েটার ল্যাবে প্রদর্শিত হয়।
নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হীরক মুশফিকের পরিকল্পনা ও নির্মাণে এবং বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় নাটক ‘নিমজ্জন’ মঞ্চায়িত হয়। আগামীকাল সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যা ৭টায় একই স্থানে নাটকটি মঞ্চায়িত হবে।
‘নিমজ্জন’ বাংলা নব্য নাট্যধারার প্রবক্তা সেলিম আল দীনের গণহত্যা বিষয়ক বিখ্যাত নাটক। বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক হীরক মুশফিক বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষার প্রযোজনা হিসেবে নির্মাণ করেন এ প্রযোজনা।
ধাঁধার সৃষ্টি করা ‘নিমজ্জন’ স্থানবিহীন এক স্থানের কথা বলে, স্থানের ঐক্য ভেঙে ‘সর্বময়’ করতে চায। পাঠক বা দর্শক কেউই বলতে পারবে না স্থানটি ঠিক কোথায়। এটি বাংলাদেশ, বুরুন্ডি, নাকি আফগান? মানুষেরও কোনো নাম নেই। কিংবা যেকোনো একটা নাম ধরেই যেন চরিত্রগুলোকে ডাকা যায়, তাতে চরিত্র বা গল্পের কোনো মানহানি হয় না।
বিশ্বময় সংঘটিত গণহত্যার প্রতি ধিক্কার জানিয়ে নাটকটির প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে। নাটকের ঘটনা প্রবাহে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ঘটমান গণহত্যা ও নৃশংসতার প্রত্যক্ষদর্শী আগন্তুক দীর্ঘকাল বিশ্ব ভ্রমণের পর এক অদ্ভুত শহরে আসেন, পুরোনো বন্ধুর খোঁজে। অধ্যাপক বন্ধু, তার সহকর্মী, কবি এবং ছাত্রের সঙ্গে যখন দেখা হয়, তখন শহরে চলতে থাকে একের পর এক নৃশংসতা। নানা ঘাত-প্রতিঘাতে নাটকটি এমন এক পরিণতির দিকে এগোই, যার মাধ্যমে সুন্দর এক পৃথিবীর পথে চলার আহ্বান জানানো হয়।
‘নিমজ্জন’ সম্পর্কে সেলিম আল দীন বলেছিলেন, ‘চাকা থেকে অতি সম্প্রতি লেখা উষা উৎসব বা স্বপ্ন রমণীগণ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ নাট্যরূপে অভিধেয় হওয়ার মতো নয়। আবার সেগুলো নাটক যে নয়, তাও নয়।’