১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
দু’দপ্তরের রশি টানাটানির কারণে অভিভাকহীন বেহালদশা দু’কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের কাজে নেমেছেন স্বেচ্ছাশ্রমে গ্রামবাসি। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নে গ্রামবাসী চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে এ কাজটি করছেন।
সাঁথিয়া এলজিইডি এবং বেড়া এলজিইডি প্রকৌশল বিভাগের রশি টানাটানির কারনে রাস্তাটি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। কোন দপ্তরই রাস্তাটির দায়িত্ব নিচ্ছে না। এলজিইডি, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ধরণা দিয়েও কাজ না হওয়ায় নির্বিঘ্নে যাতায়াতের সুবিধার্থে একান্ত বাধ্য হয়েই গ্রামবাসি স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা মেরামতের কাজ করছেন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করমজা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সোমাসনারী পূর্বপাড়া থেকে বাগজান পর্যন্ত রাস্তাটি নির্মাণ করা হয় প্রায় ২৫ বছর আগে। দু’কিলোমিটার দৈর্ঘেরে এ রাস্তাটির কিছু অংশ ইট বিছানো এবং বাকি বেশির ভাগ অংশই কাঁচা। নির্মাণের পর থেকে এ রাস্তাটির উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো সংস্কার করা হয়নি। ফলে প্রতি বছর বর্ষা এলেই রাস্তাটির মাটি ধুয়ে যাচ্ছে ও বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়ছে। বর্তমানে এ রাস্তাটি ভেঙেচুড়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অথচ এই রাস্তাটি সোমাসনারী, বাগজান, কুশিয়ারা, তারাপুর ও পাইকরহাটিসহ সাত-আটটি গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের প্রধান মাধ্যম।
এলাকাবাসী আরও জানান, রাস্তাটি পাকাকরণসহ এর সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে বারবার ধরণা দিয়েও কাজ হচ্ছে না। অবশেষে গ্রামবাসি স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন পালা করে শতাধিক গ্রামবাসী এভাবে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা মেরামতের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে কাজে নিয়োজিত গ্রামবাসি জানান।
করমজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন আলী বাগচী বলেন, ‘ওই রাস্তাটি এলজিইডির আওতাভূক্ত। রাস্তাটি পাকাকরণসহ মেরামতের জন্য ইতোমধ্যেই আমরা এলজিইডির উপজেলা কার্যালয়কে জানিয়েছি।’
এলজিইডির সাঁথিয়া উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘ওই রাস্তাটি সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নে হলেও সেটি এলজিইডির বেড়া কার্যালয়ের আওতাভূক্ত। এ ব্যাপারে ওই এলাকার লোকজন আমার কার্যালয়ে এলে তাঁদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছি।’
তবে এলজিইডির বেড়া উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘রাস্তাসহ ওই এলাকাটি বেড়া কার্যালয়ের অধীন নয়। এটি সাঁথিয়া কার্যালয়ের আওতাভূক্ত। তবে প্রকৃতপক্ষেই ওই রাস্তাটি পাকা হওয়া দরকার। এ ব্যাপারে আমি আমাদের সাঁথিয়া প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলব।’ এলাকাবাসীর প্রশ্ন তা’হলে এ রাস্তাটুকুর অভিভাবক কে?