চ্যাট করেছি, ড্রাগ নেই না, এনসিবিকে দীপিকা

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে দীপিকাকে জিজ্ঞাসবাদ করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। এর পরই সারা এবং শ্রদ্ধাকে জিজ্ঞাসবাদ করেছে এনসিবি।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল স্থানীয় সময় পৌনে দশটার দিকে মুম্বইয়ের কোলাবা অ্যাপালো বন্দরের এভলিন গেস্ট হাউসে এসআইটি-র দফতরে মাদক কাণ্ডে জিজ্ঞাসবাদের জন্য পৌঁছন দীপিকা। বের হন বিকেল চারটার দিকে। দীপিকা পৌঁছনর  কিছুক্ষণ পরেই এনসিবি দফতরে ঢুকতে দেখা যায় সুশান্তের ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশকে। গতকালও করিশ্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এনসিবি। দীপিকা এবং তাঁর ম্যানেজার করিশ্মাকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরাকরে এনসিবি।

এনসিবি সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) কাছে দীপিকা স্বীকার করেছেন  হোয়াটসঅ্যাপের সেই গ্রুপে মাদক নিয়ে ‘ডি’ এবং ‘কে’-র যে কথোপকথন হয়েছিল তা স্বয়ং দীপিকা (ডি) এবং করিশ্মারই (কে) চ্যাট। একই সঙ্গে দীপিকা এটাও বলেছেন, মাদক নিয়ে আলোচনা করলেও, তিনি নিজে মাদক নেন না। কোনো দিনও নেননি।

মাদককাণ্ডে দীপিকার নাম জড়িয়ে যাওয়ার নেপথ্যে মূলত বছর তিনেক আগের এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। গত সোমবার এনসিবির হাতে আসে ওই চ্যাট। তাতে দেখা গিয়েছিল, ‘ডি’ এবং ‘কে’ নামে দুই ব্যক্তির মধ্যে মাদক নিয়ে বেশ কিছু কথাবার্তা হয়েছে। কখনও ‘ডি’, ‘কে’র কাছে হ্যাশ চেয়েছে আবার কখনও বা ‘কে’ তাঁকে হ্যাশের জোগানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বলিউডের একাংশ দাবি করেছিলেন ওই ‘ডি’ এবং ‘কে’ যথাক্রমে দীপিকা করিশ্মা। 

ঘটনা আরও জটিল হয়ে যায়, যখন এনসিবি’র বারেবারে জিজ্ঞাসবাদের ফলে সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার জয়া সাহা কার্যত এনসিবি’র কাছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথা স্বীকার করে নেন। জয়ার কথার সূত্র ধরে জানা যায়— করিশ্মা, জয়া এবং দীপিকা, এই তিনজনের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল। জয়াই খুলেছিলেন গ্রুপটি। অ্যাডমিন ছিলেন দীপিকা এবং সদস্য ছিলেন করিশ্মা। ‘ফাঁস’ হওয়া সেই চ্যাট আদপে ওই গ্রুপেরই।

আজ দীপিকাও জিজ্ঞাসাবাদে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলেই এনসিবি সূত্রে জানা গেছে।