কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে :ইমরান খান

০৭ আগস্ট, ২০১৯

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারে ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বিষয়টি তুলবেন বলে জানিয়েছেন। মি. খান বলেছেন, আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ভঙ্গ করেছে ওই পদক্ষেপ। তার আশঙ্কা, ভারত সেখানে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালাতে পারে। ভারতের সংবিধানে যে অনুচ্ছেদের মাধ্যমে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছিল, সেই ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের একদিন পরেও পুরো কাশ্মীর বিছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

কাশ্মীরের দাবি করে আসছে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই, তবে প্রতিটি দেশ তার একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ভারতের অংশে দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতা বলছে, যার ফলে গত কয়েক দশকে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা করার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করছে ভারত, যা বরাবরই নাকচ করে দিয়ে আসছে পাকিস্তান। তবে তারা বলছে, তার শুধুমাত্র স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরের লোকজনকে নৈতিক আর কূটনৈতিক সমর্থন দিচ্ছে। খানের আশঙ্কা, নতুন সিদ্ধান্তের ফলে কাশ্মীরিরা দাসে পরিণত হবে

কী বলেছেন ইমরান খান?

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তিনি সারা বিশ্বকে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানাতে চান। ''জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে, যা নিয়ে আমরা এখন পর্যালোচনা করছি, বিষয়টি আমরা সাধারণ পরিষদে তুলবো। প্রতিটি সম্মেলনে রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আমরা কথা বলবো... গণমাধ্যমের কাছে আমরা তুলে ধরবো এবং সারা পৃথিবীর মানুষকে জানাবো,'' তিনি বলেছেন।

মি. খান বলছেন, তার মনে হচ্ছে কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার ফলে ভারত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ওই এলাকায় জনসংখ্যার কাঠামো পরিবর্তন করতে পারবে। ''আমার আশঙ্কা, (ভারত) এখন কাশ্মীরে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালাবে।'' ''তারা স্থানীয় মানুষজনকে সরিয়ে দেবে এবং অন্যদের সেখানে নিয়ে আসবে এবং তাদেরই সংখ্যাগরিষ্ঠ করে তুলবে। ফলে স্থানীয়রা মানুষরা তাদের দাস হওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না।'' এর আগে পাকিস্তানের ক্ষমতাশালী সেনাবাহিনী প্রধান বলেছেন যে, তার সৈন্যরা কাশ্মীরের মানুষের সংগ্রামে পাশেই থাকবে। ভারতের ওই পদক্ষেপকে 'অগ্রহণযোগ্য' বলে বর্ণনা করেছে প্রতিবেশী চীন।