১৮ ডিসেম্বর, ২০২০
শিশুরাই আগামীর কর্ণধার। তাদের হাত ধরেই গড়ে উঠবে আগামীর পৃথিবী। আবার হেসে উঠবে ধরণী। তাই শিশুদের গড়ে তুলতে হবে সুন্দর ভাবে। আলোকিত করে। যাতে তারা উপহার দিতে পারে প্রাণবন্তকর আগামীর পৃথিবী। তাই তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে আগামীর বিশ্ব গড়ার যোগ্য কারিগর হিসেবে। এ দায়িত্ব শুধু মাত্র পিতা-মাতা কিংবা ভাই বোন বা শিক্ষকের নয়। এ দায়িত্ব সকলের।
শিশুরা সাধারণত অনুকরণ প্রিয়। কারণ তাদের চিন্তা শক্তি এতো প্রগাড় নয় যে সবকিছু নিজে বুঝে করে নিবে। তারা তার চারপাশের মানুষদের দেখেই শিখে। শিখে আচার-আচরণ, কথার ধরণ ইত্যাদি। মূলত তারা সবকিছুই বড়দের দেখে শিখে। তাই শিশুদের সামনে যত ভালো আচরণ করা যায় ততই ভালো। তাহলে তারাও শিখবে ভালো ব্যবহার।
শিশুদের যদি স্নেহ করা হয় তাহলে অতিসহজে তাদের কাছ থেকে সম্মান পাওয়া যায়। তাদের প্রিয়ভাজন হয়ে উঠা যায় তাদের কে স্নেহ করার মাধ্যমে। তাছাড়া তাদেরকে নেতৃত্বের যোগ্যতা সম্পন্ন ভাবে গড়ে তুলতেও আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। কারণ আগামীর বিশ্বকে তারাই নেতৃত্ব দিবে। সঠিক নেতৃত্ব তৈরি করতে হলে তাদেরকে পারিবারিক কিংবা সামাজিক সব ক্ষেত্রেই মূল্যায়ন করতে হবে। কখনোই তাদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা যাবেনা। তাদের বক্তব্যও শ্রবণ করতে হবে। তাহলেই তারা পরম সহিষ্ণু হবে। সেচ্ছাচরিতা থেকে বিরত থাকবে। তাদেরকে ফুলের মতো করে গড়তে হলে অবশ্যই তাদের প্রতি সদয় হতে হবে।
ছোট অবস্থা থেকেই শিশুদের নৈতিকতা শিক্ষা দিতে হবে। যারা একটি আদর্শ দেশ গঠন করবে, তাদের অবশ্যই নৈতিকতা সম্পন্ন হতে হবে। তাদের হৃদয়ে এখন থেকেই আত্মসম্মানবোধ জাগিয়ে তুলতে হবে।
সবসময়ই শিশুদের প্রতি দয়ালু হতে হবে। কেননা তাদেরকে যদি এখন দয়া শিখানো না হয় তাহলে ভবিষ্যৎ পৃথিবী হয়ে উঠবে নির্দয়পূর্ণ।
যাদের হাত ধরে আগামীর পৃথিবী গড়ে উঠবে আমাদের উচিৎ তাদের সাথে দায়িত্বশীল আচরণ করা। তাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করা। তাদেরকে নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়া। আমরা যদি তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করি তাহলে তারা আগামীতে উপহার দিবে সুন্দর সুশীল সমাজ।
লেখক: শিক্ষার্থী, ফাজিলপুর ওয়ালিয়া ডিগ্রী মাদ্রাসা,ফেনী সদর, ফেনী