বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে হত্যার দায়ে স্বামী নজরুল ইসলামকে (২৯) মৃত্যূদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দের। রায় ঘোষণার সময় আসমি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডেদণ্ডিত নজরুল ইসলাম পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের পাবদা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে।

মৃত্যূদণ্ডের আদেশ ছাড়াও আসমি নজরুল ইসলামকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে এবং অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে নিহতের পরিবারকে দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন রহিমা খাতুন (২৭) ও তার ৫৫ দিনের শিশু সন্তান আমিরুল। রহিমা খাতুন একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তিনি একই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি রহিমা খাতুন ও তার শিশু আমিরুলকে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নজরুল বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। আঙ্গিয়াদি মীরের টেক আতার বাড়ি কালভার্টের ওপর নিয়ে শিশুটিকে বিলের পানিতে ফেলে দেন নজরুল। পরে বিলের পানিতে রহিমাকে ডুবিয়ে মারেন নজরুল। হত্যাকাণ্ডের আট দিন পর ২১ জানুয়ারি মিরারটেক গুদি বিল থেকে গলিত অবস্থায় রহিমা খাতুনের লাশ উদ্ধার করা হয়। রহিমা খাতুনের লাশ উদ্ধারের ১০ দিন পর ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় একই জায়গায় থেকে শিশু আমিরুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় নিহত রহিমার বড় ভাই আবদুল আউয়াল হত্যা ও গুমের অভিযোগ এনে নজরুল ইসলাম, তার ছোট ভাই দ্বীন ইসলাম (১৮), বাবা সোহরাব উদ্দিন ও মা মদিনা খাতুনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় ২২ জানুয়ারি একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি নজরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পরের দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে জোড়া খুনের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন নজরুল।

মামলার তদন্ত শেষে মামলার চার আসামির মধ্যে তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে একমাত্র নজরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।