০৯ মার্চ, ২০২১
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রফেসর এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাজা কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১১ এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুর্নীতির মামলায় এম এ মান্নানের সাজা এক বছর বাড়ানোর জন্য দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মো নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র এম এ মান্নানকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন। একইসঙ্গে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এছাড়া এ মামলায় অন্য আসামি গোলাম কিবরিয়াকে খালাস দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় এম এ মান্নান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সেসময় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামি এম এ মান্নান গাজীপুরের মেয়র হিসেবে থাকার সময়ে (২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) ভুয়াভাবে ৯৯৯টি ভাউচারের অনুদান ও ব্যয় দেখিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ত্রাণ এবং দরিদ্র তহবিল থেকে ৪৯ লাখ এক হাজার ৮৪৮ টাকা আত্মসাৎ করেন এম এ মান্নান ও গোলাম কিবরিয়া। এ ঘটনায় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সামছুল আলম ২০১৬ সালের ২৩ জুন গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় এম এ মান্নান ও গোলাম কিবরিয়া নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি এম এ মান্নান ও গোলাম কিবরিয়ার নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদক। এরপর গাজীপুরে স্পেশাল জজ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারের জন্য ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে বদলে করেন।
২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে ছয়জন সাক্ষ্য দেন।