১৪ এপ্রিল, ২০২১
করোনাভাইরাসের কারণে চলছে ৮ দিনের কঠোর লকডাউন। করোনাভাইরাসে সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় এ লকডাউন দিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। এ উদ্ভুত পরিস্থিতে বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম দিন পহেলা বৈশাখ। অন্যান্য বছরের মত এবারের বৈশাখ পুরোই আলাদা। প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমেই কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ-১৪২৮।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘কাল ভয়ঙ্করের বেশে আসে ঐ সুন্দর।’
বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকালে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখোশ নিয়ে অনুষদ প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্ষিপ্তভাবে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রতীকী এই শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।
এতে আরও অংশগ্রহণ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়াসহ চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আবহমান কাল থেকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়ার যে বর্ণিল উৎসব ও ঐতিহ্য, সেটি অসাম্প্রদায়িক, উদার ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন। নানা বিবেচনায় বাংলা-১৪২৮ গুরুত্ববহ একটি বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে বাংলা নববর্ষের আগমন ঘটল। কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করায় উপাচার্য চারুকলা অনুষদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা। কিন্তু চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে এ বছর পহেলা বৈশাখ উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আশা করি, আগামীতে করোনা উত্তর বাংলাদেশে আগের রূপে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে সক্ষম হবো। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সংক্ষিপ্তভাবে প্রতীকী এ মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চারুকলা অনুষদকে ধন্যবাদ জানান।