এসএসসি-এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

১৫ জুলাই, ২০২১

করোনা ভাইরাসের কারণে চলতি বছরে আটকে থাকা এসএসসি-এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। সংক্ষিপ্ত আকারে পরীক্ষা নাকি অটোপাস হবে সে সিদ্ধান্ত জানাবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ভার্চুয়ালি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা এম এ খায়ের জানিয়েছেন।

এর আগে বুধবার (১৪ জুলাই) শিক্ষামন্ত্রীর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের কথা জানানো হয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা-২০২১ সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্স করবেন সকাল ১১টায়।

জানা গেছে, এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কীভাবে বিকল্প মূল্যায়ন করা হবে, সেটি ঠিক করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষা না নেওয়াসহ এ কমিটির তিনটি প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র জানায়, এই দুই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প পদ্ধতিতে পাস করানোর চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য একাধিক প্রস্তাব তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছিল। প্রস্তাবে বলা হয়, রচনামূলক বা সৃজনশীল প্রশ্ন বাদ দিয়ে কেবল বহু নির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। বিষয় ও পূর্ণমান (পরীক্ষার মোট নম্বর) কমিয়েও পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের দুই পত্র একীভূত করা যায়।

আরও প্রস্তাব করা হয়, ২০০ নম্বরের বদলে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে উভয়ক্ষেত্রেই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি জরুরি। অর্থাৎ সংক্রমণ ১০ শতাংশের নিচে নেমে এলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কেন্দ্রের সংখ্যা বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ করে এই পরীক্ষা নেওয়া যায়।

এটি সম্ভব না হলে এসএসসির ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলের ৫০ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্ট ও শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রমের ওপর ৫০ শতাংশ ফলাফল নিয়ে ফল প্রস্তুত করা যায়। এইচএসসির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর এসএসসির ফলের ৫০ শতাংশ, জেএসসির ২৫ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্টের ফলের ২৫ শতাংশ সমন্বয় করে ফল প্রকাশের জন্যও প্রস্তাব করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কাছে সেই প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করে তা জানিয়ে দেয়া হবে। এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শিক্ষা বোর্ডগুলো ফলাফল প্রকাশের কাজ শুরু করবে বলে জানা গেছে।