জরুরি অবস্থা জারি: শোকে স্তব্ধ শ্রীলংকা

২৩ এপ্রিল, ২০১৯

শোকে স্তব্ধ শ্রীলঙ্কা। সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ২৯০ জন মানুষ মারা যাওয়ায় কাঁদছে পুরো দেশ। দেশটিতে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। ওদিকে পুলিশ প্রধানের সতর্কতা সত্ত্বেও হামলা বন্ধ করতে ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা চেয়েছে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহে টুইট করে জানিয়েছেন, ইস্টার সানডে’তে নিরাপরাধ এত মানুষের কান্ডজ্ঞানহীন প্রাণহানীতে জাতি হিসেবে আমরা শোক প্রকাশ করছি। এতে তিনি শ্রীলঙ্কার জরুরি বিভাগ ও নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দ্রুত সেবায় এগিয়ে আসার জন্য। রোববার ইস্টার সানডে’র প্রার্থনার সময় তিনটি গির্জা, তিনটি বিলাসবহুল হোটেল ও অন্য দুটি স্থানে ভয়াবহ বোমা হামলা চালানো হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।

সোমবার সরকার স্বীকার করে তারা আগে থেকে সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও ব্যর্থ হয়েছে।তাদের দাবি এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী একটি গ্রুপ জড়িত থাকতে পারে। মুখপাত্র রজিথা সেনারতেœ বলেছেন, হামলার আগেই সরকার সতর্কতা পেয়েছিল। এর মধ্যে একটি সতর্কতায় ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াতের (এনটিজে) কথা বলা হয়েছিল। রজিথা সেনারতেœ একই সঙ্গে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও। তিনি বিশ্বাস করেন না যে স্থানীয় একটি গ্রুপ একা এই হামলা চালিয়েছে। তার ভাষায়, এর সঙ্গে বিস্তৃত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক আছে। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, তারা ওই হামলার সন্ত্রাসীদের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। তারা বলেছে, আইসিসের মতো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ওই ব্যক্তির।

এমন তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিষয়ক কর্মকান্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এমন দু’জন কর্মকর্তা। এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, শ্রীলঙ্কায় ওই হামলা চালানো হয়েছে আইসিসের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে। যুক্তরাষ্ট্র এখন পরীক্ষা করে দেখছে এই হামলায় কতখানি যুক্ত আইসিস। 
ওদিকে শ্রীলঙ্কার সামরিক মুখপাত্র সুমিত আতাপাত্তু বলেছেন, বোমা হামলায় হড়িত ৬ আত্মঘাতী। জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা ২৪ জনের মধ্যে ৯ জনকে ৬ মে পর্যন্ত রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। 

ওদিকে রাজধানী কলম্বোর প্রধান বাস স্টেশনের বেসরকারি টার্মিনাল থেকে পুলিশ ৮৭টি ডেটোনেটর উদ্ধার করেছে। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।