ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হলে যেসব খাবার খাবেন

০১ ডিসেম্বর, ২০১৯

শীতে সুস্থ থাকতে হলে নিজের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে শীতে জ্বর, সর্দি এবং কাশি যেন আঁকড়ে ধরে। এই সময় প্রধানত বাড়ে শ্বাসতন্ত্রের রোগ। যদিও এসব রোগের প্রধান কারণ ভাইরাস। সাধারণত ঠাণ্ডা ও ফ্লুর কারণে কাশি হয়। তবে অ্যালার্জি, অ্যাজমা, অ্যাসিড রিফ্লাক্স, শুষ্ক আবহাওয়া, ধূমপান, এমনকি কিছু ওষুধ সেবনের ফলেও এ সমস্যা তৈরি হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একবার কাশি শুরু হলে যেন পিছু ছাড়তেই চায় না। একটানা কাশি খুবই বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে।

ঠাণ্ডা লাগলে শরীর জমে যায় এবং আলসেমি লাগে। মনে হয় সামান্য কোনো কাজ করারও শক্তি নেই। এ অবস্থায় কয়েকটি খাবার আপনাকে রাখবে প্রাণবন্ত। ঠাণ্ডায় এ খাবারগুলো আপনাকে দেবে প্রাণশক্তি।

কলা:
কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। এছাড়া ফাইবার ও ভিটামিন-বি-সিক্স উপাদানও আছে এতে যা একজন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অনেক শক্তিশালী করে তোলে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, ঠাণ্ডায় বিষণ্ণ মনকে চাঙ্গা করে তুলতে কলা খুবই কার্যকরী।

ডিম:
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঠাণ্ডায় খুব উপাদেয় খাবার হলো ডিম। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। শুধু ঠাণ্ডা নয়, যেকোনো রোগে আপনার শরীরে বাড়তি শক্তি যোগাবে ডিম। এজন্য ঠাণ্ডায় ডিম খাওয়ার চেষ্টা করুন।

চর্বিযুক্ত মাছ:
নিজেকে সামান্যতম অসুস্থ মনে হলেও প্রচুর পরিমাণে চর্বিযুক্ত মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটা আপনার শরীরকে এনে দেবে বাড়তি প্রশান্তি। চর্বিযুক্ত মাছ হিসেবে স্যালমন বা টুনা মাছ বেছে নিতে পারেন।

মিষ্টি আলু:
আপনি হয়তো জানেন, প্রকৃতির অন্যতম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হলো মিষ্টি আলু। এতে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান আছে যা রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এজন্য ঠাণ্ডায় নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরে স্বস্তি আসবে।

আবহাওয়া ও জলবায়ুর এই পরিবর্তনের এ সময়টাতে অনেকেই নানা অসুখে ভুগতে শুরু করেন। শীতের এই আসন্ন সময়টা অনেক মানুষকে প্রায়ই চরমভাবে ভোগায়। এসময়টাতে নানা অসুখ-বিসুখ মানুষকে বেশ বেকায়দায় ফেলে দেয়। সাধারণত মধ্যবয়স থেকে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। ঠাণ্ডা লাগার পরে তা যদি বসে যায়, সেটা থেকে ব্রংকাইটিসের সমস্যা মাথাচাড়া দেয়।