৩১ অক্টোবর, ২০২২
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দেড় দশক পূর্বে জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দের জেরে সংঘটিত হত্যাকান্ডের দায়ে আপন ৫সহোদরের যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালহত। সোমবার দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১এর বচারক তাজুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে সাজাপ্রাপ্Í আসামীর ২ব্যাক্তির উপস্থিতিতে এই রায় দেন। রায়ে প্রত্যেকের পৃথক ভাবে ২৫হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সাজা প্রাপ্তরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার মাঝগ্রামের বাসিন্দা মৃত: রহমত সেখের ছেলে ১. উজ্জল হোসেন(৪৭), জালাল উদ্দিন (৫৬), সেজ্জাত ওরফে সুজাত(৪৩),আব্দুল গফুর(৬৭) এবং সুজন হোসেন (৩৮)।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১১জুন রাত সাড়ে ১০টায় কুমারখালী উপজেলার খোদ্দবনগ্রামের আলিমদ্দিন সেখের ছেলে জামাল উদ্দিন সেখ নিজ ধান ক্ষেতে সেচ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আসামীরা পূর্বশত্রুতার জেরে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর রক্ষাক্ত জখম করে। এতে জামাল উদ্দিন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই আফিল উদ্দিন সেখ বাদি হয়ে ৮জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন কুমারখালী থানায়।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ০৭ জানুয়ারী ১২জনের বিরুদ্ধে কৃষক জামাল উদ্দিন হত্যায় জড়িত অভিযোগ এনে আদালতের চার্জশীট দাখিল করেন দাখিল করেন কুমারখালী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক সামছুল আলম সিদ্দিকী।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, কুমারখালী থানার জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দের জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জামাল উদ্দিন নামের কৃষককে হত্যার দায়ে আপন ৫সহোদরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড সহ ২৫হাজার টাকা অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। জরিমানার টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরও এক বছর সাজা খাটতে হবে তাদের। সেই সাথে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় এমামলায় মজনু, বিল্লাল, মো: হেলাল, জলিম উদ্দিন, সাকাই, দুলাল এবং আব্দুর রহিমকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।