২০ এপ্রিল, ২০২৩
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। খুশিতে আত্মহারা মুমিন-মুসলমান। উচ্ছ্বসিত গোটা দেশ। প্রাণভরা উচ্ছ্বাসে নাড়ির টানে শহর ছাড়ছে কোটি মানুষ। চড়তে হচ্ছে যানবাহনে। এই যানবাহন ঈদ আনন্দকে ধূলিস্যাৎ করে দিতে পারে। মুহূর্তেই সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে। তছনছ হয়ে যেতে পারে একটি পরিবারের ঈদ আনন্দ। তাই ভ্রমণে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পাশাপাশি রাসুল (সা.) ভ্রমণের সময় কিছু দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন।
যাত্রার সবকিছু ঠিক হয়ে গেলে বের হওয়ার আগে দুই রাকাত নামাজ পড়া উত্তম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সফরকারী তার পরিবারের জন্য দুই রাকাত নামাজের চেয়ে ভালো কিছু রেখে যায় না (মুসান্নাফ ইবনু আবি শাইবা, হাদিস : ৪৯১২)।
ভ্রমণে বের হলে বাহনে চড়ার পর রাসুল (সা.) এই দোয়া পড়তেন, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সুবহানাল্লাজি ছাখ্খারালানা হা-যা ওয়া-মা-কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুন কালিবুন।’
অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি অত্যন্ত দয়ালু ও নেহাত করুণাময়। তিনি পূতপবিত্র ওই সত্তা যিনি বাহনকে আমার অধীন করে দিয়েছেন। আমাদের কাছে তাকে আয়ত্তে আনার ক্ষমতা ছিল না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রভুর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।
ভ্রমণে বের হওয়ার আগে রাসুল (সা.) আরো একটি চমৎকার দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়িন আলাইনা সাফারনা হা-যা, ওয়াতওই আন্না বু’দাহু, আল্লাহুম্মা আনতাস্-সাহিবু ফিস্-সাফারি, ওয়াল খালিফাতু ফিল আহলি ওয়াল মাল। আল্লাহুম্মা ইন্না নুউজুবিকা মিন ওয়া-ছা-ইস সাফারি ওয়া-কাআবাতিল মানজারি, ওয়া সুইল মুনকালাবি ফিল আহলি ওয়াল মাল।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের জন্য আমাদের এ সফর সহজ করে দাও। রাস্তার দূরত্ব কমিয়ে দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সফরের সঙ্গী এবং আমাদের পরিবারের কাছে তুমি আমাদের স্থলাভিষিক্ত। হে আল্লাহ! তোমার নিকট সফরের কষ্ট-ক্লান্তি ও ভয়ানক দৃশ্য দেখা থেকে এবং পরিবার, সম্পদ-বিত্ত ও অধীনস্থদের কাছে খারাপ অবস্থায় ফেরত আসা থেকে তোমার কাছে রক্ষা চাই। (মুসলিম, হাদিস নং : ৯৭৮/২)
এ ছাড়াও যেকোনো বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি লাভের জন্য এই দোয়া পড়া যেতে পারে- ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন।’
অর্থ : আপনি ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। অবশ্যই আমি পাপি (সুরা আল আম্বিয়া : ৮৭)।