রাহুল গান্ধীর সাজা সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত

০৫ আগস্ট, ২০২৩

‘মোদি’ উপাধি নিয়ে মন্তব্যের জেরে ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দেয়া দু’বছরে সাজা স্থগিত করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

শুক্রবার বিচারপতি আরএস গাভাই ও বিচারপতি পিকে মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। ফলে এ সংক্রান্ত সুরাট আদালতের রায় আপাতত কার্যকর হচ্ছে না।

তবে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আবেদনকারীর বক্তব্যগুলো যে ভালো ছিল না, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আবেদনকারীকে বক্তৃতা দেয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকা উচিত।

এর আগে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, শীর্ষ আদালত সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় সংসদ সদস্য পদ ফিরে পেতে পারেন রাহুল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্ণাটকের কোলারে ‘মোদি’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাটের সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা দুই বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে।

‘অপরাধমূলক মানহানি’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত রাহুলের দুই বছর জেলের যে সাজা গত ২৩ মার্চ সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দিয়েছিলেন, তার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাহুলের আবেদন গত ৭ জুলাই খারিজ করে দিয়েছিলেন গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের বেঞ্চ। গুজরাট হাইকোর্টের আগে সুরাটের দায়রা আদালতও সাজার রায় বহাল রেখেছিলেন।

সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ খারিজ করেছিলেন।

আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, শীর্ষ আদালত সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় সংসদ সদস্য পদ ফিরে পেতে পারেন রাহুল।

প্রনঙ্গত, ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধী কর্ণাটকে একটি নির্বাচনী জনসভায় মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। পরে গুজরাট সরকারের সাবেক মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।