যে কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন প্রসূণ, সারিকা, জেবা!

২৪ আগস্ট, ২০২৩

সম্প্রতি রুকাইয়া জাহান চমকের নিষিদ্ধ ঘোষণার পরই অভিনয়শিল্পীদের নিষিদ্ধ হওয়ার ইস্যুটি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে অভিনয় শিল্পী সংঘ। কেননা, অতীতে এমন কঠোর সিদ্ধান্তের জন্য অনেক অভিনয়শিল্পীরই ক্যারিয়ার কঠিন হয়ে পড়ে।

টিভি অভিনয়শিল্পীদের নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি প্রথম ঘটে ২০১৬ সালে। ওই সালেই প্রথম নিষিদ্ধ হন জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী প্রসূণ আজাদ।

এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন এ অভিনেত্রী। ডিরেক্টরস গিল্ড, টেলিপ্যাব ও অভিনয় শিল্পী সংঘ এই তিন সংগঠনের সিদ্ধান্তে এমন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরিচালক ও অভিনয়শিল্পী রোকেয়া প্রাচীর অভিযোগের ভিত্তিতে সে সময় নিষিদ্ধ হন প্রসূন।

 

এরপর ২০১৮ সালে শুটিং ফাঁসিয়ে দেয়ার অপরাধে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও অভিনয় শিল্পী সংঘের সদস্য সারিকা সাবরিন নিষিদ্ধ হন। ওই সময় তার নিষিদ্ধ হওয়ার মেয়াদ ছিল ছয় মাস। সারিকাকে নিষিদ্ধ করে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রোডিউসার অ্যাসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ টেলিপ্যাব।

 

চলতি বছর ২০ জুন থেকেই নিষিদ্ধ হন জনপ্রিয় উঠতি টিভি অভিনেত্রী জেবা জান্নাত। পরিচালকদের অসহযোগিতা আর অসদাচরণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

 

সর্বশেষ ডিরেক্টর গিল্ড অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপরই এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে অভিনয় শিল্পী সংঘ জানায়, নিষিদ্ধ হচ্ছেন না অভিনেত্রী। অভিনয়শিল্পীদের নিষিদ্ধ করার বিষয়টি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তে এসেছে সংগঠনটি।

 এ বিষয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম জানান, সংগঠনগুলো তারকাদের অভিভাবক। তাই কারো ভুল হলে তাকে তার ভুল সংশাধনের সুযোগ দিতে হবে প্রথমে। তারপরও যদি কেউ তার ভুল সংশোধন না করে সে ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তার আগে নয়।