ইন্ডিয়া কিংবা ভারত কোনো নামেই সমস্যা দেখছি না: রাহুল

১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

দেশের নাম ইন্ডিয়া থাকবে, নাকি পরিবর্তন করে ভারত করা হবে- এ বিতর্কে কয়েক দিন ধরে উত্তপ্ত ভারতের জাতীয় রাজনীতি। এ ইস্যুতে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন বিরোধী দল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী। 

বর্তমানে ইউরোপ সফরে রয়েছেন রাহুল। রাজধানী প্যারিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে রাহুল বলেন, আমাদের সংবিধানে ভারত এবং ইন্ডিয়া দুই নামই রয়েছে। সংবিধানের শুরুতে বলা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়া অথবা ভারত হবে একটি রাজ্যপুঞ্জ।’ তাই ইন্ডিয়া কিংবা ভারত কোনো নামেই আমি সমস্যা দেখছি না। দুটি নামই চমৎকারভাবে গ্রহণযোগ্য।

বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ভারতের আত্মাকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এর মূল্য চোকাতে হবে ওদের। রোববার প্যারিসে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রাহুল একথা বলেন। 

যারা দেশের নাম বদলাতে চাইছেন তারা আসলে ইতিহাসকে অস্বীকার করছেন। অসংখ্য মানুষের মূল্যবান অবদানের কথা তুলে ধরতে হবে আমাদের। কেউ যদি দেশের আত্মাকে আক্রমণ করে, তবে যেন উপযুক্ত মূল্য চোকাতে হয় তাদের। সংবিধান অনুযায়ী ভারত ও ইন্ডিয়া দুটিই সঠিক। সম্ভবত আমরা জোটের নাম ইন্ডিয়া রেখে কেন্দ্রকে অস্বস্তিতে ফেলেছি। সেই কারণেই দেশের নাম বদলাতে চাইছে ওরা।

বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ব নিয়ে কংগ্রেস নেতা বলেন, বিজেপির সঙ্গে প্রকৃত হিন্দুত্বের কোনো সম্পর্ক নেই। বিজেপি ক্ষমতা দখলের জন্যই সবকিছু করে। ওরা চায় জাতপাতের ভিত্তিতে সামান্য কিছু মানুষের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত থাক।

রাহুলের অভিযোগ, বিজেপি ক্ষমতা দখলের জন্য দুর্বলদের ওপর সব রকম অত্যাচার করতে পারে। উগ্র হিন্দুত্ববাদের সঙ্গে হিন্দু ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি একাধিকবার গীতা পড়েছি। কোনো হিন্দু ধর্মগ্রন্থে লেখা নেই যে ধর্মের জন্য দুর্বলদের ওপর অত্যাচার করতে হবে। ভারতের যে জাতপাত প্রথা আছে, সেটা বজায় রাখার জন্য ওরা সবকিছু করতে পারে।

আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর লোকসভার বিশেষ অধিবেশন বসতে চলেছে। এই অধিবেশনেই ভারতের ইংরেজি নাম বদলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর- হিন্দুস্তান টাইমস।