মিশরকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে কঙ্গো

২৯ জানুয়ারী, ২০২৪

মোহামেদ সালাহকে ছাড়া মিশর কতোটা দূর্বল সেটা আরেকবার দেখা গেল। আফ্রিকান নেশন্স কাপের নকআউট পর্বেই বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে সালাহবিহীন মিশরের। কঙ্গোর বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে সমতায় শেষ হওয়ার পর ট্রাইবেকারে ৮-৭ ব্যবধানে হেরেছে বর্তমান রানার্সআপরা। 

রোববার (২৮ জানুয়ারি) আইভরি কোস্টের স্তাদে লৌরেন্ট পৌকু স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় কঙ্গো। গোল করেন মৌসচাক এলিয়া। এরপর যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরান মিশরের ফরোয়ার্ড মোস্তফা মোহাম্মেদ।

এই ম্যাচে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে কঙ্গো। এদিকে মিশরের আক্রমণভাগ ছিল একেবারেই পানসে। সালাহর অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে রেকর্ড ৭ বারের চ্যাম্পিয়নরা। তাতে ম্যাচের ৩৭ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে মিশর। কঙ্গোকে এগিয়ে দেন স্ট্রাইকার এলিয়া। 

গোল খেয়ে শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মিশর। তাতে অবশ্য সাফল্যেও পায় তারা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে সমতায় ফিরে আসে মিশর। মোস্তফা মোহাম্মেদ কঙ্গোর জালে বল জড়ান।

দ্বিতীয়ার্ধে কোনো দলই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি। এমনকি ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও গোল করতে ব্যর্থ হয় মিসর ও ডিআর কঙ্গো। ১২০ মিনিটের খেলা শেষেও ১-১ সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে।

পেনাল্টিতে দু’দলই নিজেদের দ্বিতীয় কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়। পরের তিনটি শট থেকে গোল উভয় দল। প্রথম পাঁচ পেনাল্টি শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৪-৪। ষষ্ঠ ও সপ্তম স্পটকিকে মিশর বল জালে জড়ালেও অষ্টম পেনাল্টি ক্রসবারের ওপর দিয়ে মারেন তাদের গোলকিপার মোহামেদ আবুও গাবেল। এই সুযোগে লক্ষ্যভেদ করে দলকে জেতান কঙ্গোর কিপার লিওনেল এমপাসি এনজাও।