কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যায় ১ জনের ফাঁসি ও ১ জনের যাবজ্জীবন

১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

২০১২ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম আমানগন্ডায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৫) হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। আসামিরা কোদাল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে খুন করে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার শ্যামনগর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে মো. লিটন (২৬) এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার খোলপাশা গ্রামের মৃত হেলাল মিয়ার ছেলে আবদুস সোবহান ওরফে তুফান (৫০)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই বাদীর ভগ্নিপতি দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৫৫) চৌদ্দগ্রাম আমানগন্ডাস্থ বাদীর মৎস্য প্রকল্পে নির্মিত টিনসেড ঘরে কোদাল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। এ সময় আসামিরা পালিয়ে যায়। ২০১২ সালের ১ আগস্ট নিহতের শ্যালক চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আগানগন্ডা গ্রামের মৃত জুলকু মিয়ার ছেলে মো. ফুল মিয়া বাদী হয়ে মো. লিটনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুলতান উদ্দিন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৯ আগস্ট আসামি মো. লিটন মিয়াকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে। আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মো. লিটন মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড। অপর আসামি আব্দুস সোবহান ওরফে তুফান মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি আশাবাদী শীঘ্রই এ রায় কার্যকর হবে। এ মামলায় আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন।