টংক আন্দোলনের নেত্রী কুমুদিনী হাজং আর নেই

২৪ মার্চ, ২০২৪

ব্রিটিশ শাসনামলের টংক আন্দোলন ও হাজং বিদ্রোহের নেত্রী কমরেড কুমুদিনী হাজং মারা গেছেন। কুমুদিনীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার স্বজন বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকার সুজন হাজং।

সুজন হাজং জানান, শনিবার (২৩ মার্চ) বেলা ১টা ৪০ মিনিটে কুমুদিনী হাজং নিজ বাড়িতে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ১০২ বছর।

দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেড়াতলী গ্রামে পাহাড়ী অঞ্চলের এক টিলায় বাস করতেন কুমুদিনী হাজং। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। রোববার (২৪ মার্চ) সকালে স্থানীয় শশ্মানঘাটে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

হাজং বিদ্রোহের সাক্ষী কুমুদিনী হাজং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, টংক আন্দোলন, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, পাকিস্তানি জুলুম বৈষম্য, নিপীড়ন, ১৯৬৪ এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, মহান স্বাধীনতা আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনের সাক্ষী ছিলেন।

কুমুদিনী হাজং ১৯৯৯ সালে তেভাগা কৃষক আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তিতে পুরস্কার, ২০০৩ সালে অনন্যা শীর্ষ দশ নির্বাচিত পুরস্কার, ২০০৫ সালে স্বদেশ চিন্তা সংঘ ড. আহম্মদ শরীফ স্মারক পুরস্কার, ২০০৭ সালে মনিসিংহ স্মৃতিপদক পুরস্কার, ২০১০ সালে সিধু কানহু ফুলমনি পদক, ২০১৪ সালে জলসিঁড়ি পদক, ২০১৮ সালে হাজং জাতীয় পুরস্কার, ২০২১ সালে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক সম্মাননা, ২০২২ সালে পথ পাঠাগার সম্মাননা পান।

তার মৃত্যুতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ রুহী, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রেমন্ড আরেং, ইউএনও এম রকিবুল হাসান, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা কমরেড দিবালোক সিংহ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিচালক গীতি কবি সুজন হাজং, দুর্গাপুর প্রেস ক্লাব, পথ পাঠাগার পরিবার, বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠন, সিপিবি নেত্রকোনা জেলা ও দুর্গাপুর উপজেলা কমিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছেন।